ঢাকা, শনিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিজিবি ২ হেলিকপ্টার, শীতার্তরা পাচ্ছে সাড়ে ৭ লাখ কম্বল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৮

ঢাকা: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জন্য জি-টু-জি (সরকার টু সরকার) পদ্ধতিতে দু’টি হেলিকপ্টার ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

বৃহস্পতিবার (০৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের জানান, রাশিয়ার কাছ থেকে জি-টু-জি পদ্ধতিতে ৪১৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকায় দু’টি হেলিকপ্টার কেনা হবে।

হেলিকপ্টার দু’টি সরবরাহ করবে জেএসসি রাশিয়ান হেলিকপ্টার্স।  

বৈঠকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে শীতার্ত, অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য পাঁচটি লটে ৭ লাখ ৪০ হাজার ৬৪০টি কম্বল কেনারও প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। দুযোগ ব্যবস্থা অধিদফতর উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে (ওটিএম) ৫৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকায় কম্বলগুলো কিনবে।

সভায় পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পে মূল সেতু ও নদী শাসন কাজ তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট নিয়োগ সংক্রান্ত প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানোর বিষয়টি অনুমোদন হয়েছে।
 
নাসিমা বেগম বলেন, প্রকল্প গ্রহণের সময় স্থানীয় জনমাস (সময় গণনা) ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ২৮৯ ও বিদেশে ৮১৫ জনমাস। এখন কাজ করতে গিয়ে স্থানীয় জনমাস বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার ৫২৭ দশমিক ৯০ ও ১ হাজার ১৫১ দশমিক ০১। জনমাস বাড়ার কারণে ভেরিয়েশন প্রস্তাব আনা হয়েছে।
 
‘কনসালটেন্ট কাজের মূল চুক্তি মূল্য ছিল ৩৮৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা। জনমাস বাড়ার কারণে এখন মূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। ’

বাংলাদেশ সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর বাস্তবায়নাধীন ‘সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২: এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর এমপি-০২ এর তিনটি লটের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে।

নাসিমা বেগম বলেন, ২ হাজার ১১০ কোটি ৮৫ লাখ টাকায় কাজ পেয়েছে আব্দুল মোমেন লিমিটেড, সিপিসি-ট্যান্টিয়া এবং কেএমসি-মনিকো।
 
এছাড়া এক লাখ মেট্রিকটন ব্যাগড গ্রানুলার ইউরিয়া সার চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ৩৩৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকায় মেসার্স সুইচ সিঙ্গাপুর ওভারসিজ এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, হংকংয়ের মেসার্স ড্রাগন এশিয়া ফার্টিলাইজারস লিমিটেড ও ঢাকার মেসার্স পোর্টন ট্রেডার্স এ সার সরবরাহ করবে।
 
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন ‘চট্টগ্রাম হালিশহর হাউজিং এস্টেটের ‘এ’ ব্লকে অত্যাধুনিক এনএইচএ মাল্টিপারপাস টাওয়ার নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সাততলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক বাণিজ্যিক ভবননির্মাণ কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সভায়। দু’টি সাততলা ভবন ১৫৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকায় করবে বিপিএল কম্প্রিহেনসিভ হোল্ডিং লিমিটেড।

গণপূর্ত অধিদফতরের বাস্তবায়নাধীন ‘চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে সিজিএস কলোনিতে জরাজীর্ণ ১১টি ভবনের স্থলে ৯টি বহুতল আবাসিক ভবনে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৭৮৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২০তলার তিনটি ভবন নির্মাণের অনুমতি এসেছে সভায়। ২২৮টি ফ্ল্যাট হবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য। ১১০ কোটি ৮৩ লাখ টাকায় জিকেবি অ্যান্ড কোম্পানি প্রা. লি. এবং ফ্রেন্ডস ইন্টারন্যাশনাল বাস্তবায়ন করবে।

গণপূর্ত অধিদফতরের বাস্তবায়নাধীন ঢাকার তেজগাওয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বহুতল আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ (১৩ তলা)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে। ৬টি ১৩ তলা ভবনে ২৮৮টি ফ্ল্যাট হবে। ৬৫০ ও ৮০০ স্কয়ার ফিট ফ্ল্যাট নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য নির্মিত হবে। ক্রয় মূল্য ১৩০ কোটি ৯২ লাখ টাকা। কাজ পেয়েছে কুশলী নির্মাতা লিমিটেড।

ঢাকা ওয়াসা কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগের ক্রয় প্রস্তাবও পাস হয়েছে। ঢাকা মহানগরের গভীর নলকূপের পানির লাইন পুর্নবাসন ও পাম্প স্টেশন নির্মাণে ব্যয় হবে ২২০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। বাংলাদেশ সরকার ও এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক বাস্তবায়ন করবে। কাজ পেয়েছে চায়না ফাস্ট মেটালজিক্যাল গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড।

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ‘শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ (ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ১৭ হাজার ৪১৪টি ডিস্ট্রিবিউশন ট্রান্সফরমার ক্রয়ের প্রস্তাবে ওটিএম পদ্ধতিতে ১০০ কোটি ৪৭ লাখ টাকায় বাস্তবায়ন করবে সিলভেন টেকনোলজিস লিমিটেড।
 
এছাড়া ‘বরিশাল সদর উপজেলার কীর্তন খোলা নদীর ভাঙন থেকে চরবাড়িয়া এলাকা রক্ষা’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৩ হাজার ৩৬৬ মিটার নদী তীর সংরক্ষণ, ৯৪ দশমিক ৫৩ মিটার অ্যান্ড টার্মিনেশন নির্মাণ এবং ৫ হাজার ৬০০ মিটার নদী ড্রেজিং কাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড ও নৌ-বাহিনীকে নিয়োগের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এতে রিভার প্রটেকশন, ড্রেজিংয়ের কাজ করা হবে। খুলনা শিপইয়ার্ড সরাসরি কাজটি করবে ২০৯ কোটি ৬২ লাখ টাকায়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৮
এমআইএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।