বুধবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাবে নবমবারের মতো আয়োজিত আয়কর মেলায় ‘কর শিক্ষণ ফোরামে’র কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের প্রত্যেকটি জায়গায়, প্রত্যেকটি অফিসে করদাতারা যাতে হয়রানি ছাড়াই নির্ভয়ে, স্বাচ্ছন্দ্যে কর পরিশোধ করতে পারেন সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘আয়কর মেলায় করদাতাদের উপস্থিতি দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষের আগ্রহ ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। মানুষ দলে দলে মেলায় রিটার্ন জমা দিচ্ছেন। কোনোরকম হয়রানি ছাড়াই নির্ভয়ে ও স্বাচ্ছন্দ্যে রিটার্ন জমা দিয়ে সবাই রশিদ নিচ্ছেন।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আয়কর দিতে গিয়ে করদাতা যেন কোনো ভীতির সম্মুখীন না হন সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। তবেই করদাতার সংখ্যা বাড়বে।
সচেতনতার অভাব ও ট্যাক্স না দিয়ে থাকার প্রবণতার কারণে বেশির ভাগ লোক করের আওতার বাইরে রয়েছে উল্লেখ করে মোশাররফ হোসেন বলেন, গ্রামের মানুষের মধ্যে কর না দেওয়ার প্রবণতা বেশি। পাশাপাশি শহরের মধ্যে কম পড়াশোনা জানা ব্যক্তিরাই কর দিচ্ছেন কম। বাজেটে আয়করে বড় লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। সেজন্য ভ্যাট ও ট্যাক্সের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। সাধারণ মানুষকে মোটিভেশন করছি। পাশাপাশি খবর সংগ্রহ করে যারা করের আওতায় আছেন, তাদের চিহ্নিত করে করের আওতায় আনার চেষ্টা করছি।
‘জনবল বৃদ্ধি ও নতুন নতুন অফিস তৈরির কর্মপন্থা নিয়েছি। আশা করছি আগামী ২-৩ বছরে রাজস্ব আহরণে আমূল পরিবর্তন আসবে। এই দু’টো করতে পারলেই একটা জাম্প দিয়ে রাজস্ব আহরণ বাড়বে। বর্তমানে যা আহরণ হচ্ছে তার দ্বিগুণ রাজস্ব আদায় হবে’, বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৮
এমএফআই/জেডএস