আগামী ডিসেম্বর থেকে এ মজুরি কার্যকর হবে। তাই এ বিষয়ে কারো উস্কানিতে না পড়ার জন্য শ্রমিকদের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিজিএমইএ মিলনায়তনে তৈরি পোশাক শিল্প খাতে কর্মরত অসুস্থ শ্রমিকদের চিকিৎসা সহায়তা এবং শ্রমিকের মেধাবি সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, আর কোনো শ্রমিক অসহায় থাকবে না। গার্মেন্টস পণ্যের মোট রফতানি মূল্যের শতকরা শূন্য দশমিক ০৩ পয়সা ব্যাংকের মাধ্যমে কেটে কেন্দ্রীয় তহবিলে জমা করা হয়। এ অর্থের অর্ধেক বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ-কে দেওয়া হয় তাদের শ্রমিকদের বিমা দাবি পরিশোধের জন্য। বাকি অর্ধেক শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যয় করা হয়।
তিনি বলেন, কোন গার্মেন্টস শ্রমিক দুর্ঘনায় মারা গেলে এ তহবিল থেকে তিন লাখ এবং বিমা বাবদ দুই লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়। গার্মেন্টস শ্রমিক অসুস্থ হলে, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে সর্বোচ্চ দুই লাখ এবং শ্রমিকের সন্তানের শিক্ষার জন্য সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা শিক্ষা সহায়তা দেওয়া হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানুষের কল্যাণে এ তহবিল গঠন তার জীবনের শ্রেষ্ঠ কাজ। তিনি বলেন, প্রতিদিন তহবিলে টাকা জমা হচ্ছে। এ পর্যন্ত এ তহবিলে ১২৩ কোটি টাকা জমা হয়েছে। তার মধ্যে ৬১ কোটি টাকা এফডিআর করে রাখা আছে। বাকি টাকা শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যয় করা হয়েছে। যত বেশি পোশাক রফতানি হবে তত বেশি টাকা এ তহবিলে জমা হবে।
অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ এর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সংসদ সদস্য এবং বিকেএমইএ’র সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান, মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, বিজিএমইএ’র সহ সভাপতি মোহাম্মদ নাছির, বিকেএমইএ’র প্রথম সহ সভাপতি মোহাম্মদ মুনসুর এবং জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় তহবিলের মহাপিরচালক ড. আনিসুল আউয়াল।
অনুষ্ঠানে ৭৭ জন অসুস্থ গার্মেন্টস শ্রমিককে ২৬ লাখ পাঁচ হাজার চিকিৎসা সহায়তা এবং সাতান্ন জন শ্রমিকের মেধাবি সন্তানকে ১৫ লাখ পাঁচ হাজার টাকা শিক্ষা বৃত্তি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৮
আরএম/এসএইচ