ছুটির দিন হওয়ায় আয়কর মেলায় সরকারি চাকরিজীবী ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এছাড়া বেসরকারি চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীরাও কর মেলায় এসে কর দেওয়ার বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ধারণা নিয়েছেন।
মহানগরীর বয়রাস্থ কর ভবন প্রাঙ্গণে আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী করমেলায় চতুর্থ দিন ছিল এমন চিত্র।
আয়োজক সূত্রে জানা যায়, মেলায় ৪৭টি স্টলের মাধ্যমে কর সংক্রান্ত সেবা দেওয়া হচ্ছে। আয়কর মেলা ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মেলাটি চলবে। মেলায় সব শ্রেণির করদাতারা ইটিআইএন রেজিস্ট্রেশন বুথে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে নতুন করদাতারা ইটিআইএন রেজিস্ট্রেশন এবং বর্তমান করদাতারা পুনরায় নিবন্ধন করতে পারছেন। পাশাপাশি এই মেলায় করদাতাদের আয়কর রিটার্ন দাখিল এবং মেলা প্রাঙ্গণে স্থাপিত সোনালী, বেসিক ও জনতা ব্যাংকের বুথের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের আয়কর জমা দিতে পারছেন।
মেলায় নারী, প্রতিবন্ধী ও প্রবীণ করদাতাদের জন্য পৃথক বুথ রয়েছে। করদাতাদের রিটার্ন পূরণে সহায়তা করার জন্য মেলায় ‘হেল্প ডেস্ক’র ব্যবস্থা আছে। এবার আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ হবে ৩০ নভেম্বর।
কর অপিল অঞ্চল খুলনার কর কমিশনার প্রশান্ত কুমার রায় বাংলানিউজকে বলেন, আয়কর মেলার মাধ্যমে সচেতনতা বাড়ায় কারদাতাদের মধ্যে ভয় কেটে গেছে। তারা এখন নিজেরাই উৎসাহী হয়ে কর দিতে আসেন।
তিনি জানান, শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় মেলায় করদাতাদের ভিড় বেশি হয়েছে।
খুলনা কর অঞ্চলের উপ-কর কমিশনার মো. হাসানুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, মেলার প্রথম দিনে সেবা গ্রহণ করেছেন ১৭১৯ জন। রিটার্ন দাখিল করেছেন ১০৩৬ জন। পুনরায় নিবন্ধন রেজিস্ট্রেশন গ্রহণ করেছেন ৭৫ জন ও নতুন টিআইএন গ্রহণ করেছেন ১ জন। মেলার প্রথম দিনে আয়কর জমা হয়েছে ৫৬ লাখ ৭০ হাজার ৭৭৯ টাকা।
দ্বিতীয় দিনে ৮২ লাখ ৬৩ হাজার ৬৯৫ টাকা আয়কর জমা পড়ে। এদিন মেলা থেকে সেবা গ্রহণ করেছেন ৩ হাজার ৭৬৪ জন। রিটার্ন দাখিল করেছেন ১ হাজার ৭৯৩ জন। পুনরায় রেজিস্ট্রেশন গ্রহণ করেছেন ১ জন ও নতুন টিআইএন গ্রহণ করেছেন ৭৪ জন।
মেলার তৃতীয় দিন ২ কোটি ২৭ লাখ ২২ হাজার ৭৩১ টাকা আয়কর জমা পড়েছে। এদিন মেলা থেকে সেবা গ্রহণ করেছেন ৩ হাজার ২৪২ জন। রিটার্ন দাখিল করেছেন ১ হাজার ৮৮৬ জন। নতুন টিআইএন গ্রহণ করেছেন ৯৮ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৮
এমআরএম/এএটি