রোববার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে সিলেট নগরের রিকাবিবাজার মোহাম্মদ আলী জিমনেশিয়ামে মেলার ষষ্ঠ দিনে কর শিক্ষণের এ আয়োজন করে কর অঞ্চল সিলেট।
এতে সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ও পুলিশ লাইন উচ্চ বিদ্যালয়ের ১১ জন করে শিক্ষার্থী এবং সরকারি অগ্রগামী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৫ শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র প্রতীব পনতীর্থ অনুভূতি ব্যক্ত করে বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীরা হচ্ছেন ভবিষ্যতের করদাতা। করমেলায় এখানে আসার জন্যই আসা নয়। এই উদ্দেশ্যকে পূর্ণরূপে অনুধাবন ও শিক্ষা নেওয়া। আর বড় হয়ে শিক্ষা ও মেধার মূল্যায়ন করে আয়কর দেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে চাই।
কর শিক্ষণে অংশ নেওয়া সিলেট পুলিশ লাইনস উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র মকসুদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সিলেটে আয়করের ২২টি সার্কেল আছে এই মেলায় এসে জানলাম। কিভাবে কর দিতে হয় তাও জানলাম। এ রকম আয়োজনে ভবিষ্যত প্রজন্ম কর দিতে উদ্ভুদ্ধ হবে।
মাকসুদুর রহমান আরো বলেন, পাঠ্যবইয়ে আয়করের বিষয়ভিত্তিক পাঠদান থাকলে আমরা কর দেওয়া সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারতাম।
উপ-কর কমিশনার (সদর দপ্তর ও প্রশাসন) কাজল সিংহ বলেন, দেশের অর্থনীতি আগে বিদেশ নির্ভর ছিলো। এখন ট্যাক্সের উপর ভর করে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিতে হলে ভবিষ্যত প্রজন্মকে তথা শিক্ষার্থীদের কর বিষয়ে সচেতন করে তুলতে হবে। তারা জানতে পারবে ট্যাক্স দিলে কি হয়। বাংলাদেশে কতোসংখ্যক মানুষ কর দেয়।
‘অথচ পাঠ্যপুস্তকে আয়কর বিষয়ে কোনো সম্যক ধারণা দেওয়া নেই। একমাত্র অর্থনীতি ছাড়া সমাজ বিজ্ঞান, সাধারণ বইগুলোতে ট্যাক্স বিষয়ে কোনো কিছু লেখা নেই। দেশকে এগিয়ে নিতে আয়করের বিকল্প নেই। ফলে নবম ও দশম শ্রেণিতে পাঠ্যবইয়ে ট্যাক্সের বিষয়গুলো অন্তর্ভূক্ত করা যায় কি না, তা রাজস্ব বিভাগে প্রস্তাব পাঠানো হবে। ’
সিলেটের কর কমিশনার আবু হান্নান দেলওয়ার হোসেন বলেন, আজকে যারা তরুণ, তারা আগামী দিনের করদাতা। শিক্ষার্থীদের কর দেওয়া বিষয়ে সচেতন করে তোলা আমাদের কর্তব্য। আর নতুন প্রজন্ম কর দেওয়ার শিক্ষা লাভ করলে দেশ উন্নয়নের সোপানে এগিয়ে যাবে। যে কারণে কর বিষয়ে হাতে কলমে শিক্ষা দিতেই মেলায় কর শিক্ষণের আয়োজন করা হয়ে থাকে।
কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রথমস্থান লাভ করে সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী মেহজাবিন মোতাহার মুনিয়া, দ্বিতীয় হয়েছে সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ফারদিন হাসান ইফতি ও তৃতীয় স্থান লাভ করে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একই শ্রেণির ছাত্র আবিদ হাসান।
উপ-কর কমিশনার ছাদ উল্লাহর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী শিক্ষক ফৌজিয়া আক্তার, পুলিশ লাইন উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলাবিভাগের সহকারী শিক্ষক শাহ আলম।
অনুষ্ঠানে সিলেট কর অঞ্চলের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৮
এনইউ/আরবি/