এদিকে করদাতা ও সেবাগ্রহণকারীদের দাবি ছিলো সময় আরো বাড়ানোর, কিন্তু এনবিআর কর্তৃপক্ষ নতুন করে মেলার সময় বাড়াচ্ছে না।
বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চত করেছেন এনবিআরের সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) জিয়াউদ্দিন মাহমুদ।
তিনি বলেন, সন্ধ্যা ৭টার দিকে এনবিআর চেয়ারম্যান আনুষ্ঠিনকভাবে মেলার সমাপনী ভাষণ দেবেন। সাধারণ মানুষকে সচেতন ও তরুণদের উৎসাহিত করে করের আওতা বাড়াতে ১৩ নভেম্বর সকাল ৯টায় রাজধানীরসহ সারাদেশে আয়কর মেলা শুরু হয়। সোমবার বিকেল ৫টায় এ মেলা সম্পন্ন হবে।
তিনি বলেন, রাজধানীর বেইলী রোডের অফিসার্স ক্লাবসহ সারাদেশে অনুষ্ঠিত এবারের মেলায় করাদাতের ব্যাপক সাড়া পড়ে। ফলে সপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়াও অন্যন্য দিনগুলোতে করদাতা ও সেবাগ্রহণকারীদের উপচেপড়া ভিড় ছিলো। ফলে নির্ধারিত সময়ের পরেও কর্মকর্তা রিটার্ন জমা নিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, মেলার এই পরিবেশ যাতে এনবিআরের অফিসগুলোতে বজায় রাখা হয় সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কর্মকর্তাদের। আশা করছি, গ্রাহকরা কোনো ধরনের হয়রানি- ঘুষ ছাড়াই কর দিতে পারবেন।
এনবিআর সূত্র মতে, আয়কর মেলার একদিন বাকি থাকতেই অর্থাৎ ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে ১৩ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩৯জন মানুষ সেবা নিয়েছেন। তার মধ্যে নতুন করে ই-টিআইএন নিয়েছেন ৩২ হাজার ১০জন। আয় কর দিয়েছেন ৪ লাখ ১২ হাজার ১৯৬জন। তাদের আয় করের পরিমাণ ১ হাজার ৮৯৯ কোটি ৩৯ লাখ ১৬ হাজার ৩টাকা। আর গত বছর (২০১৭) একই সময়ে সেবা নিয়েছিলো ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৯০জন। ই- টিআইএন খুলেছিলো ৬ লাখ ৯২৯ জন। এর মধ্যে ২ লাখ ৬৯ হাজার ১৫৪জন কর দিয়েছিলো । এর পরিমাণ ছিলো ১ হাজার ৭৯১কোটি ১২ লাখ ৩৭ হাজার ৩১০টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৮
এমএফআই/এএটি