এ বছর মেলা থেকে সেবা গ্রহণ করেছেন ৭৭ হাজার ২৭ জন। রিটার্ন দাখিল করেছেন ৪৩ হাজার ৪৮৩ জন।
২০১৭ সালে ২৯ কোটি ১৪ লাখ ৫৫ হাজার ৬৬৮ টাকা আয়কর জমা পড়েছিলো। মেলা থেকে সেবা গ্রহণ করেছিলেন ৫৪ হাজার ৫৭০ জন। রিটার্ন দাখিল করেছিলেন ২৭ হাজার ৮১২ জন। রি-রেজিস্ট্রেশন গ্রহণ করেছিলেন ৫ জন ও নতুন টিআইএন গ্রহণ করেছিলেন ১ হাজার ১৯৬ জন।
খুলনা কর অঞ্চলের উপ-কর কমিশনার মো. হাসানুর রহমান সোমবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, মেলার শেষ দিনে খুলনা কর অঞ্চলে ২৬ কোটি ৬৯ লাখ ৮৯ হাজার ৮৭৩ টাকা আয়কর জমা পড়েছে। মেলা থেকে সেবা গ্রহণ করেছেন ৯ হাজার ৬৯৮ জন। রিটার্ন দাখিল করেছেন ৬ হাজার ৮৩২ জন। রি-রেজিস্ট্রেশন গ্রহণ করেছেন একজন ও নতুন টিআইএন গ্রহণ করেছেন ১৯৮ জন।
এবছর কর অঞ্চল খুলনার আওতাধীন খুলনাসহ ১০ জেলার জেলা শহর যথাক্রমে- যশোর, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়ায় ১৪-১৭ নভেম্বর, চুয়াডাঙ্গা, ১৬-১৯ নভেম্বর, নড়াইল এবং মাগুরা ১৫-১৮ নভেম্বর পর্যন্ত চার দিনব্যাপী আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কর অঞ্চল খুলনা সূত্রে জানা যায়, প্রথম বছর ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত মেলায় সেবা গ্রহণ করেন ১৬ হাজার ৯৪৫ জন, নতুন করদাতা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন ৫৯৫ জন, আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন ৪ হাজার ৩১৪ জন, আয়কর আদায় হয় ৩ কোটি ৬৩ লাখ ২২ হাজার ৭২৯ টাকা।
২০১২ সালে সেবা গ্রহণ করেন ২০ হাজার ১০১ জন, নতুন করদাতা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন ৮০৬ জন, আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন ৭ হাজার ৫০৬ জন, আয়কর আদায় হয় ৮ কোটি ৫৯ লাখ ১৪ হাজার ৯৭৫ টাকা।
২০১৩ সালে সেবা গ্রহণ করেন ৩০ হাজার ৭৩৪ জন, নতুন করদাতা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন ৪৫২ জন, আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন ৮ হাজার ২৯৮ জন, আয়কর আদায় হয় ১৯ কোটি ৬৫ লাখ ৮২ হাজার ৭০২ টাকা।
২০১৪ সালে সেবা গ্রহণ করেন ৪০ হাজার ১০২ জন, নতুন করদাতা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন ৪৫৮ জন, আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন ১৩ হাজার ১২০ জন, আয়কর আদায় হয় ২৯ কোটি ১০ লাখ ২ হাজার ৫৯৭ টাকা।
২০১৫ সালে সেবা গ্রহণ করেন ২৫ হাজার ৪৭৯ জন, নতুন করদাতা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন ৫০৭ জন, আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন ১০ হাজার ৯১০ জন, আয়কর আদায় হয় ৮ কোটি ৪৮ লাখ ৫৯ হাজার ৭২৭ টাকা।
২০১৬ সালে সেবা গ্রহণ করেন ৪২ হাজার ৭৫৯ জন, নতুন করদাতা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন ৪ হাজার ৮৬ জন, আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন ১৫ হাজার ৯৭২ জন, আয়কর আদায় হয় ২৮ কোটি ৫৮ লাখ ১৩ হাজার ৫শ’ টাকা।
কর আপিল অঞ্চল খুলনার কর কমিশনার প্রশান্ত কুমার রায় বাংলানিউজকে বলেন, আয়কর মেলার প্রতি করদাতাদের আগ্রহ বেড়েছে। মেলা থেকে করদাতারা সেবা পাওয়ায় প্রতিবছরই তারা বেশি করে মেলায় আসছেন। আয়করও আদায় হচ্ছে। যার কারণে প্রতি বছরই আদায়ের রেকর্ড ভঙ্গ হচ্ছে।
তিনি জানান, আয়কর সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা ও মানুষের মনে লুকিয়ে থাকা করভীতি দূর করার লক্ষ্য নিয়েই আয়কর মেলা শুরু হয়েছিলো। সে লক্ষ্য আজ পূরণ হয়েছে। মানুষের ভেতর থেকে কর ভীতি কেটে গেছে। মেলায় শুধু কর আদায় নয়, সেবাগ্রহীতার সংখ্যা, রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা, নতুন টিআইএন নেওয়ার সংখ্যাও বেড়েছে। দিন যতই যাচ্ছে মানুষও মেলায় কর দিতে উৎসাহিত হচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৮
এমআরএম/জেডএস