সংস্থাটি বলছে, অর্থায়নের ক্ষেত্রে দাতা ও গ্রহীতা- উভয়পক্ষের মধ্যে সমন্বয়হীনতার ঘাটতি রয়েছে। এ জন্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্মানিত উদ্যোগ নিয়ে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) টিআইবির সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য দেওয়া হয়।
এসময় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, নির্বাহী উপদেষ্টা (ব্যবস্থাপনা) সুমাইয়া খায়ের ও পরিচালক শেখ মনজুর-ই-আলম উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিআইবির সিনিয়র প্রোগ্রামার জাকারিয়া হোসেন খান।
এতে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জলবায়ু পরিবর্রতন মোকাবিলায় বাংলাদেশ চরম ক্ষতির সম্মুখীন হলেও ক্ষতিপূরণ আদায়ে এখনও অনেক পিছিয়ে আছে দেশ। পিছিয়ে থাকার আবার তিনটি কারণও রয়েছে। এক হলো- টেকনিক্যাল জ্ঞান না থাকা, দুই- ন্যায্য দাবি আদায়ে দর কষাকষিতে ঘাটতি এবং তিন- নিজেদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত আর্থিক, পরিবেশগত ও সুশাসনের মানদণ্ড নিশ্চত করতে পারেনি। প্রতি বছর কমপক্ষে ২.৫ বিলিয়ন ডলার দরকার বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ খাতে ট্রাস্ট তহবিলকে (বিসিসিটিএফ) ৩৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে সরকার এ খাত নিয়ে পৃথক বাজেট প্রণয়ন করেছে। কিন্তু জাতীয় এ বাজেটে বিসিসিটিএফে তহবিল বরাদ্দের পরিমাণ ক্রমেই কমছে। শুধু তা-ই নয়, প্রকল্প অনুমোদন ও তহবিল বরাদ্দে স্থানীয় ঝুঁকিকে প্রাধান্য না দেওয়া, তহবিল ব্যবহারে নাগরিক অংশগ্রহণ, তথ্যের উন্মুক্ততা, জবাবদিহিতা ও শুদ্ধাচারের ঘাটতিসহ বাস্তবায়নে নিরপেক্ষ তদারকির ঘাটতি কার্যকর করা অন্যতম চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন তিন।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, যেসব দেশ আমাদের আর্থিক অনুদান দেয়, তাদের যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে। একইসঙ্গে যে অনুদান আসে তার সঠিক ব্যবহার বা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় করে কাজ করাসহ সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
মূল প্রবন্ধে জাকারিয়া হোসেন বলেন, বৈশ্বিক চাহিদা অনুযায়ী প্যারিস চুক্তিতে প্রতিশ্রুত জলবায়ু তহবিল দেওয়া ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতের বিষয়টি বাধ্যতামূলক না হয়ে ঐচ্ছিক হওয়ায় ঝুঁকিতে থাকা স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য অনুদান ভিত্তিক অর্থায়ন পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৮
জিসিজি/টিএ