মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলের ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিতে (ডিসিসিআই) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
ডিসিসিআই ও যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএইড) আয়োজিত মেলায় প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।
মেলায় প্রবেশে সবার জন্য উন্মোক্ত থাকবে। তার জন্য কোনো ফি থাকবে না বলেও জানান ডিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট আবুল কাশেম খান।
ডিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট আবুল কাশেম খান বলেন, ফুল শিল্পকে প্রসারিত করতে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলার মাধ্যমে সরকার ও ফুল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং সংগঠন সবাইকে এক ছাদের আনার চেষ্টা হচ্ছে। এবারের মেলায় দেশি-বিদেশি মোট ৭০টি স্টল স্থান পাবে। এর মধ্যে ভারত, নেপাল ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ১২টি স্টল থাকবে। এছাড়া প্রদর্শনীতে ফুল উৎপাদন-বিক্রি, ফুল শিল্পের সুযোগ-সুবিধা এবং ভবিষৎ ও চ্যালেঞ্জ বিষয়ে একাধিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এতে দেশ-বিদেশি ব্যক্তিরা আলোচনায় অংশ নেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্তমানে বিশ্বে ৪৫ বিলিয়ন ডলার ফুলের বাজার রয়েছে। এর মধ্যে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ফুলের বাজারের পরিমাণ ৯ হাজার কোটি টাকা। চীনের অবদান আরো বেশি। আর সেখানে বাংলাদেশের ফুলের বাজার ৮শ’ কোটি থেকে ১২শ’কোটি টাকার। তার মধ্যে বর্তমানে ৮৪ কোটি টাকার রফতানি হচ্ছে।
২০১৮ সালে বিদেশি রফতানির টার্গেট ২শ’ কোটি টাকা। বাংলাদেশে ১৬ হাজার কৃষক ফুল চাষ করছে। এ শিল্পে এখন পরোক্ষ-প্রত্যক্ষভাবে ৩০ লাখ জড়িত। এ খাতে যত উৎপাদন বাড়বে। ফুল ততই বিদেশে রফতানি হবে, তাতে কর্মসংস্থানও বাড়বে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সেক্রেটারি এবং ইউএসএইডের কনসালটেন্ড আনোয়ার ফারুক, ডিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামরুল ইসলাম, ইমরান আহমেদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৮
এমএফআই/এএটি