ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নিত্যপণ্যের দাম আরও কমবে: পরিকল্পনামন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৮
নিত্যপণ্যের দাম আরও কমবে: পরিকল্পনামন্ত্রী

ঢাকা: বর্তমানে সব নিত্যপণ্যের দাম নিম্নমুখী দাবি করে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, নির্বাচনী হাওয়ায় নিত্যপণ্যের বাজারে নেতিবাচক কোনো প্রভাব পড়বে না। বরং সামনে নিত্যপণ্যের দাম আরও কমবে।

মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) গত নভেম্বর মাসের ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

সিপিআইয়ের হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরে মুস্তফা কামাল বলেন, বিশ্ববাজারে তেল, ডাল ও চিনির দাম কমেছে।

ফলে দেশে মূল্যস্ফীতির হারে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এর প্রভাবে চলতি বছরের নভেম্বর মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ। অক্টোবর মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ।
 
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশে কৃষি পণ্যের বাম্পার ফলন হয়েছে। চাল উৎপাদনও ভালো হয়েছে। তাই সব পণ্যের দামই সহনীয় পর্যায়ে আছে। ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময়মূল্যও সহনীয় পর্যায়ে আছে। ফলে আদা, রসুন, পেঁয়াজ, তেল ও ডাল কিনতে বাড়তি খরচ হয় না।
 
নির্বাচনের আগে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির শঙ্কা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ভোটের সময় আমরা চাল ও সবজি বেশি খাবো না। কিন্তু চা তৈরির জন্য চিনি একটু বেশি লাগবে। ভোটে অন্যান্য উৎসবের মতো আমরা সন্তানদের নতুন নতুন কাপড়-চোপড়ও কিনে দেই না। সুতরাং ভোটে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নাই। এখন সব কিছুর দাম কম, ভোটের পরও দাম কম থাকবে।
 
বিবিএস’র হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, শহর এলাকায় ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসের তুলনায় ২০১৮ সালের নভেম্বরে সব পণ্যের দাম কমেছে। ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে ১০০ গ্রাম কাঁচা মরিচের দাম ছিল ১৬ টাকা, এ বছরের নভেম্বর মাসে কমে হয়েছে ৮ টাকা। একইভাবে তুলনায় দেখা যাচ্ছে, প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৮৪ টাকা থেকে কমে ৫৮ টাকা, রসুন ১১০ থেকে ১০০, ব্রয়লার মুরগি ১৫৯ থেকে ১৫০, হলুদ ২০০ থেকে ১৯০, চিনি ৬০ টাকা থেকে কমে ৫৮ টাকা হয়েছে। তবে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম অপরিবর্তিত হয়েছে।
 
অবশ্য দাম বেড়েছে উন্নতমানের মসুর ডাল, খেসারির ডাল, আতপ চাল, নাজিরশাইল, খাসির মাংস, চিংড়ি মাছের দাম। প্রতিকেজি আতপ চাল ৪২ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৪ টাকা, খাসির মাংস ৭৪৮ থেকে ৭৭০, চিংড়ি ৭১৮ থেকে ৭৩৫, গরুর মাংস ৪৯৬ থেকে ৫০০, পাম অয়েল প্রতিলিটার ৭৮ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা। অন্য দিকে দেশি মানের বাইসাইকেল ৫ হাজার ৮০০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার ৯০০ টাকা।
 
বিবিএসের মূল্যস্ফীতির হার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রসাধনী সামগ্রী, জুতা, পরিধেয় বস্ত্র, বাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালী পণ্য, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবাখাতে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৮
এমআইএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।