মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
মুহিত বলেন, বর্তমানে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাথা ব্যথা দূর হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএসইসি সত্যিকার অর্থেই পুঁজিবাজার সৃষ্টি করতে পেরেছে। কিন্তু এখনো বাজার বিস্তার লাভ করেনি। তবে আইপিও (প্রাথমিক গণপ্রস্তাব) ভালোভাবে হচ্ছে। এখন পুঁজিবাজার নিয়ে আমি চিন্তিত নই, উচ্চমানের পুঁজিবাজার সৃষ্টিতে তারা সক্ষমতা অর্জন করেছে। এজন্য কমিশনের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
অতীতের কথা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে পুঁজিবাজারে দু’বার ধস হয়েছে। এটা সুখকর ছিলো না। বরং আমাদের জন্য কলঙ্কজনক ছিলো। ফলে দ্বিতীয়বার বাবেল হওয়ার পর ২০১১ সালে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন পুনঃগঠন করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সহযোগিতা নিই। যাতে বাবল সৃষ্টি না হয়, বাবলের পতন না হয়, তার জন্য কমিশনকে নির্দেশ দেই। আর কমিশন সেই কাজটি সার্থকভাবে সম্পন্ন করেছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নে অর্থমন্ত্রীর ভূমিকা অনস্বীকার্য জানিয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন বলেন, অর্থমন্ত্রীর আত্মত্যাগ অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তিনি পুঁজিবাজারের যেকোনো প্রয়োজনে এগিয়ে এসেছেন। বাজার এখন স্থিতিশীল এবং উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এর পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান অর্থমন্ত্রীর। তার নির্দেশনায় স্টক এক্সচেঞ্জ ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন হয়েছে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম এবং বিএসইসির কমিশনাররা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৮
এমএফআই/আরবি/