বুধবার (০৫ ডিসেম্বর) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত ও অথনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিতে এখনও চাঙ্গা ভাব আছে।
এদিকে বিশ্বব্যাংক চলতি অর্থবছরে (২০১৮–১৯) মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। সংস্থাটি জানায়, অভ্যন্তরীণ চাহিদার কারণে এই প্রবৃদ্ধি হবে। মেগা প্রকল্পের কারণে সরকারি বিনিয়োগ বাড়ছে। কিন্তু ব্যবসায় পরিবেশে উন্নতি না হওয়ায় বেসরকারি বিনিয়োগে তেমন উন্নতি হয়নি। এজন্য প্রবৃদ্ধিকে সংখ্যা দিয়ে না দেখে গুণগত মান দিয়ে দেখা উচিত। প্রবৃদ্ধির সুফল সাধারণ মানুষ পাচ্ছে কি না, তা দেখতে হবে।
বিশ্বব্যাংক মনে করে, সামষ্টিক অর্থনীতিকে চার ধরনের চাপ আছে। এগুলো হলো খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির উল্লম্ফন, বিদেশি অর্থায়নের ঘাটতি, তারল্য সংকট এবং বাজেট ঘাটতির পরিমাণ বৃদ্ধি। এছাড়া বেসরকারি খাতে বিপুল বিনিয়োগ দরকার। বড় অবকাঠামোতে আরও সরকারি–বেসরকারি বিনিয়োগ করতে হবে। প্রবাসী আয় ও রপ্তানিতে আয় বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে। রাজস্ব আদায় বৃদ্ধিতে নতুন ভ্যাট আইনটি বাস্তবায়ন করা জরুরি। বিদ্যুতের লোড ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে কার্যকর করতে পারলে বছরে ১৬৫ কোটি ডলারের সমপরিমাণ তেলের দাম সাশ্রয় করা সম্ভব।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৮
জিসিজি/এমজেএফ