বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘হাউ টু ইনকর্পোরেট বায়ো-ডাইভার্সিটি ইস্যুজ ইন গ্রিন ব্যাংকিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালায় এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়।
যৌথভাবে এ গবেষণা কর্মশালার আয়োজন করে বিআইবিএম ও বাংলাদেশ পৌষ।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিআইবিএম এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, গ্রিন ব্যাংকিং ও জীব-বৈচিত্র্য খাতের অর্থায়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাজ করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে গ্রিন ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে একটি আলাদা গাইড লাইন তৈরি হয়েছে। তবে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইড লাইনের চেয়ে ব্যাংকারদের সচেনতা জরুরি।
বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা বলেন, জীব-বৈচিত্র্য খাতে অর্থায়নে পরিবেশের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করতে হবে। এতে প্রাকৃতিক পরিবেশকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। ব্যাংকগুলোকে এ দিকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বিআইবিএমের অধ্যাপক এবং পরিচালক (ট্রেনিং) ড. শাহ মো. আহসান হাবীব বলেন, গ্রিন ব্যাংকিং খাতে এক সময় কোনো সচেতনা ছিল না। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এ অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। ব্যাংকারদের মধ্যে সচেতনতা বাড়লে একইভাবে জীব-বৈচিত্র্য খাতেও এক সময় বড় পরিবর্তন আসবে।
পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, গ্রিন ব্যাংকিং ও জীব-বৈচিত্র্যতা বিষয়ে সব পর্যায়ে সচেতনতার ঘাটতি রয়েছে। আগামি দিনে এ খাতে অর্থায়নে ব্যাংকারদেরও সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, পরিবেশকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে, সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনিস এ খান বলেন, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও), এজেন্ট ব্যাংকিংসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে জীব-বৈচিত্র্য খাতে অর্থায়ন করতে হবে। এতে ঝুঁকি কমবে। এদিকে ব্যাংকাররা দৃষ্টি দিতে পারেন।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বাংলাদেশ পৌষের প্রেসিডেন্ট এম. সানোয়ার হোসেন বলেন, ব্যাংকগুলো সম্পৃক্ত হলে জীব-বৈচিত্র্য ব্যবস্থাপনা অনেক সহজ হবে। আগামী দিনে জীব-বৈচিত্র্য রক্ষায় ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
ট্রাস্ট ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়রা আজম বলেন, জীব-বৈচিত্র্য খাতে অর্থায়নের ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা আছে। সব অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে।
সমাপনী বক্তব্যে বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরী বলেন, আগামী দিনে গ্রিন ব্যাংকিংয়ে আরও বেশি নজর দিতে হবে। একইসঙ্গে গ্রাহকদের গ্রিন ব্যাংকিং পণ্যে অর্থায়নে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমানোর ওপর জোরারোপ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৮
এসই/ওএইচ/