ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পায়রা বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিং বাস্তবায়নে চুক্তি সই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৯
পায়রা বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিং বাস্তবায়নে চুক্তি সই পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডোর এম জাহাঙ্গীর আলম এবং  বেলজিয়ামভিত্তিক জান ডে নুল, ড্রেজিং কোম্পানির চেয়ারম্যান ডেভিড জনচিরি নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে সই করছেন।

ঢাকা: পায়রা বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিং বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের (পাবক) সঙ্গে চুক্তি সই করেছে পায়রা ড্রেজিং কোম্পানি লিমিটেড। ফলে বন্দরকে পূর্ণাঙ্গরূপে চালু করতে রাবনাবাদ চ্যানেলের ৭৫ কিলোমিটারজুড়ে রক্ষণাবেক্ষণ, ড্রেজিং ও জাহাজ চলাচলের উপযোগী করে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

সোমবার (১৪ জানুয়ারি) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সংক্রান্ত একটি অংশীদারিত্ব চুক্তি (পিপিপি) সই করা হয়েছে।

পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডোর এম জাহাঙ্গীর আলম  এবং  বেলজিয়ামভিত্তিক জান ডে নুল, ড্রেজিং কোম্পানির চেয়ারম্যান ডেভিড জনচিরি নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।

এ সময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ, পিপিপি এর চিফ এক্সকিউটিভ অফিসার সৈয়দ আফসার এইচ উদ্দিনসহ পয়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও  নৌ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছে, প্রায় ৮ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ (পাবক) এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বেলজিয়ামভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি ‘জান ডি নুল’ (জেডিএন) এর উদ্যোগে গঠিত যৌথ কোম্পানি পায়রা ড্রেজিং কোম্পানি লিমিটেড। ক্যাপিটাল ড্রেজিংসহ প্রাথমিক রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং কাজটি ৩৪ মাসে তিনটি সুনির্দিষ্ট ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে।  


এর আগে ২০১৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি পায়রা বন্দরের ক্যাপিটাল ও রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং প্রকল্প পিপিপি পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।


কমোডোর এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে  ব্যয় হবে ৮ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা। যা বেলজিয়াম এক্সপোর্ট ক্রেডিট এজেন্সির সহায়তায় এইচএসবিসি এবং এর কনসোর্টিয়াম ব্যাংক থেকে পায়রা ড্রেজিং কোম্পানি লিমিটেড গ্রহণ করবে। প্রাথমিক রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং শেষ হওয়ার ৬ মাস পর থেকে ২০টি সমপরিমাণ অর্ধ-বার্ষিক কিস্তিতে সুদসহ এ অর্থ পরিশোধ করবে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ।

তিনি বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জোয়ারের সহায়তায় সর্বোচ্চ ১২ মিটার ড্রাফটের জাহাজ, ৩ হাজার কন্টেইনারবাহী জাহাজ ও ৪০ হাজার মেট্টিক টন ধারণক্ষমতার বাল্কবাহী জাহাজ বন্দরের জেটিতে সরাসরি ভিড়তে পারবে। ফলে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বছরে ২০ মিলিয়ন মেট্টিক টন কয়লা বন্দরে সরাসরি খালাস করা যাবে। যা দেশের পশ্চিমাঞ্চলের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপকরণ চাহিদা পূরণ করবে। এছাড়া বন্দর অবকাঠামোসহ অন্যান্য কম্পোনেন্ট  যেমন-কন্টেইনার, বাল্ক ও এলএনজি টার্মিনাল ইত্যাদি স্থাপনা নির্মাণের লক্ষ্যে আগ্রহী দেশ ও প্রতিষ্ঠান পায়রা বন্দরে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে। বন্দরকেন্দ্রিক দেশের দক্ষিণাঞ্চলে শিল্প অবকাঠামো গড়ে উঠবে এবং আর্থ সামাজিক উন্নয়ন হবে।

অনুষ্ঠানে  জনানো হয়, পায়রা বন্দরকে গভীর সমুদ্র বন্দর আকারে গড়ে তোলার লক্ষ্যে রাবনাবাদ চ্যানেলকে ভবিষ্যতে ১৪.৫ মিটার গভীর করা হবে। এ নতুন গভীর সমুদ্র বন্দর দেশের উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলে অর্থনৈতিক করিডোর প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করবে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে দক্ষিণের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে রূপান্তরিত হবে।

২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর  জাতীয় সংসদে ‘পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৩’ পাস হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার রাবনাবাদ চ্যানেলে দেশের ৩য় সমুদ্র বন্দর ‘পায়রা বন্দর’ উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৯
জিসিজি/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।