ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

১৭৫টি নতুন প্রকল্প হাতে নিতে চায় সড়ক বিভাগ

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৯
১৭৫টি নতুন প্রকল্প হাতে নিতে চায় সড়ক বিভাগ

ঢাকা: চলতি অর্থবছরের (২০১৮-১৯) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার অর্থায়নে ৭ হাজার কোটি টাকাসহ সব মিলিয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার নতুন এডিপি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে সেতু বিভাগে ৮ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা ও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের জন্য ২০ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। গুরুত্ব বিবেচনায় নতুন করে আরো ১৭৫টি প্রকল্প হাতে নিতে চায় সড়ক বিভাগ।

 

চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে সংশোধিত এডিপি নিয়ে এনইসি সভা অনুষ্ঠিত হবে। এডিপি বইয়ে নতুন করে ১৭৫টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন করা হয়েছে। অন্যদিকে বর্তমানে ৯৯টি প্রকল্প চলমান আছে এই মন্ত্রণালয়ে।

১৭৫টি প্রকল্প এডিপি বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগে আবেদন করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, ১৭৫টি প্রকল্পের মধ্যে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের ১৭২টি। এছাড়া দুটি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের এবং একটি বিআরটিএ’র। এসব প্রকল্পের মধ্যে ৪৬টি প্রকল্প সংশোধিত এডিপিতে অন্তর্ভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে।  

এছাড়া প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা হয়েছে ৩৭টি প্রকল্পের। এছাড়া ২৬টি প্রকল্পের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) হাতে পেয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। অন্যদিকে ৬৬টি প্রকল্পের কোনো ডিপিপি পাওয়া যায়নি। অথচ এসব প্রকল্প সংশোধিত এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পরিকল্পনা কমিশনে আবেদন করেছে সড়ক পরিবহন  ও সেতু মন্ত্রণালয়।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, সংশোধিত এডিপিতে প্রকল্পের ঠাঁই হলে পরবর্তী পর্যায়ে প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দসহ নানা বিষয় সহজ হবে। প্রকল্পটি ট্র্যাকে উঠে যাবে। এজন্যই সংশোধিত এডিপিতে প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করার জোর দাবি ওঠে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে।

পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব জিয়াউল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা নতুন প্রকল্পকে সাধুবাদ জানাই। কারণ নতুন প্রকল্প মানেই উন্নয়ন। সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও মন্ত্রণালয় মনে করে প্রকল্পটি এডিপি বইয়ে ঢুকে পড়া মানেই একটা স্টেজে উঠে পড়া।

তবে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বাংলানিউজকে বলেন, নতুন প্রকল্প এডিপি বইয়ে ঠাঁই পাওয়া বড় কথা নয়। আমাদের সামর্থ্যও দেখতে হবে। আমাদের দেশীয় সম্পদ ও স্থানীয় মানুষের চাহিদা দেখেই সংশোধিত এডিপিতে নতুন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করবো। শুধু এডিপি বই ভারী করে লাভ কী? আমাদের কাছে নতুন নতুন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করার অনেক আবেদন আসছে। আমরা প্রকল্পের গুরুত্ব ও আমাদের সম্পদের কথা বিবেচনা করেই সংশোধিত এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করবো। নতুন প্রকল্পের গুরুত্ব নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আমরা মিটিং করবো।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৯ 
এমআইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।