ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সমাপনী দিনে দর্শনার্থী বেড়েছে ডেনিম এক্সপোতে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪১ ঘণ্টা, মে ৩, ২০১৯
সমাপনী দিনে দর্শনার্থী বেড়েছে ডেনিম এক্সপোতে ডেনিম এক্সপোতে দর্শনার্থীদের ভিড়। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে মেইল বন্ধন সৃষ্টি করতে বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ আয়োজন করেছে দুই দিনব্যাপী ‘ডেনিম এক্সপো’। প্রদশর্নীর প্রথম দিনে তেমন দর্শনার্থীর সমাগম দেখা গেলেও শেষ দিনে তাদের পদচারণায় মুখর ছিল মেলা প্রাঙ্গণ।

এদিকে সেমিনার হলেও ছিল দর্শনার্থী, বিশেষজ্ঞ আর ব্যবসায়ীদের ভিড়। উৎপাদন, আমদানি-রফতানি নিয়ে শলা পরামর্শ ছিল সবার মধ্যে।

শুক্রবার (০৩ মে) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ডেনিম এক্সপো’র প্রাঙ্গণ ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।  ডেনিম এক্সপোতে পোশাক দেখছেন একজন ক্রেতা।                                          ছবি: বাংলানিউজআয়োজকরা বলছেন, ডেনিম শিল্পকে সার্কুলারিটির পথে ধাবিত করার লক্ষ্যে ডেনিম এক্সপো’র আয়োজন। বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’র দশম সংস্করণ এটি। বিশ্বের ১১টি দেশ থেকে ৬৩টি কোম্পানি এবারের ডেনিম এক্সপোতে  অংশগ্রহণ নিয়েছে। যেখানে বিপুল সংখ্যক ডেনিম ক্রেতা ও বিক্রেতার সমাগম হয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের ডেনিম শিল্পে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য বিভিন্ন দিক এবারের মেলায় তুলে ধরা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (০২ মে) ‘ডেনিম এক্সপো’  শুরু হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় এর পর্দা নামছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রদশর্নীতে ডেনিমের পাশাপাশি মেটাল আইটেমের সঙ্গে পরিচিত হতে পারছেন সবাই। তাছাড়া এসব পণ্যের উৎপাদন, আমদানি-রফতানির একটা ধারণা এখান থেকে নিতে পারছেন দর্শনার্থীরা।

মেলায় অংশ নেওয়া ডেকো এক্সেসরিজ ও ডেকো গার্মেন্টসের ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের দেশের সবাই মেটাল আইটেম চীন থেকে আমদানি করতো। এখন দেশেরই মেটাল পণ্য তৈরি হচ্ছে। যেগুলো দেশের চাহিদা মেটাতে সক্ষম। আমরা এসব পণ্য নিয়ে এসেছি। তাছাড়া গার্মেন্টস পণ্য এনেছি সবাই এগুলো সম্পর্কে জানতে পারছেন।

ওয়েল গ্রুপের মার্কেটিং ম্যানেজার (সেলস) রেজাউল বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ডেনিম পণ্য নিয়ে এসেছি। দেশ ও দেশের বাইরে থেকে যারা মেলায় অংশ নিয়েছেন তারা সবাই একজন অন্যজনের কাছ থেকে ধারনা নিচ্ছেন রফতানির বিষয় জানতে পারছেন। তাছাড়া আমরা ক্রেতাদের কাছে আমাদের পণ্যকে তুলে ধরছি, তাদের ধারনা নিচ্ছেন। তার মতে, আজ শেষ দিন হওয়ায় মেলায় আগত দর্শনার্থী দ্বিগুণ বেড়েছে।

বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ ও বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, আমরা এমন একটা পৃথিবীতে বাস করছি যেখানে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পোশাক উৎপাদন করা হচ্ছে। এই পোশাকের পুনঃব্যবহার, পুনঃউৎপাদন কিংবা আবার কাজে লাগানো সম্ভব। এই একমুখী মডেল পরিবর্তন করে টেকসই ভবিষ্যতের জন্য ‘সার্কুলারিটির প্রয়োজনীয়তার ওপর ডেনিম এক্সপো’র এবারের সংস্করণে জোর দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, আমরা সার্কুলারিটিকে এক্সপো’র মূল প্রতিপাদ্য হিসেবে বেছে নিয়েছি। কারণ বর্তমানে ডেনিম শিল্প বৃহত্তর পোশাক শিল্পে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে দাঁড়িয়েছে। মেলার বিশেষ আয়োজন ট্রেন্ড জোনে আসন্ন ট্রেন্ডগুলোকে প্রদর্শন করা হচ্ছে। দুই দিনব্যাপী মেলায় মোট ছয়টি সেমিনার ও দু’টি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৯
ইএআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।