মঙ্গলবার (৬ মে) রাজধানীর গুলশানে নগর ভবনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। তার সভাপতিত্বে এই মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মফিজুল ইসলাম, এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষের পক্ষে শফিউল ইসলাম লস্কর, র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমসহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী নেতারা।
সভায় মেয়র বলেন, খাদ্য ভেজালমুক্ত রাখাসহ বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে মনিটরিং করবে এই দলগুলো। পণ্যে যারা ভেজাল দেবেন বা পণ্যের দাম বেশি নেবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সভায় জানানো হয়, দ্রব্যমূল্য তালিকা বাজারে দৃশ্যমান স্থানে রাখা, ডিএনসিসির বাজারগুলোতে ফরমালিন মেশানো ফল বিক্রি বন্ধ করা এবং পচা-বাসী শাকসবজি ও ফলমূল ইত্যাদি বিক্রি বন্ধ নিশ্চিত করতে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হবে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটি, বিএসটিআই, নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতার সমন্বয়ও করবে ডিনসিসি।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে সভায় বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আপনারা ব্যবসায়ীরাতো সারা মাস ব্যবসা করেন। এই এক মাস সংযমের মাস, এ মাসে একটু কম দামে পণ্য বিক্রি করার চেষ্টা করেন। ইফতারির সময় আমরাতো পাঁচ দশজনকে ডেকে ইফতার করাই। আপনারাও এ মাসে ক্রেতাদের ডেকে এনে কম দামে পণ্য বিক্রি করুন। এই বোধটা যদি জাগ্রত হয় তাহলে আর কিন্তু কোনো সমস্যা নেই। আইন করে, মনিটরিং করে হয়তো বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা যাবে। কিন্তু আপনাদের ভেতরে যদি মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত না হয় তাহলে কিছু করা যাবে না।
তিনি বলেন, ভেজাল খাওয়ানো মানুষ খুন করার মতো অপরাধ। মানুষ খুন করলে পুলিশ ধরে ফাঁসি দেয়, আর ভেজাল খাওয়ানো তেমনই বড় ধরনের অপরাধ। আমাদের এ মূল্যবোধগুলোকে জাগ্রত করতে হবে। আমরা সবদিক থেকে আগে বাড়তে চাই, আমরা যেন মানুষকে একটু ভালো রাখার চেষ্টা করি যে যার জায়গা থেকে।
র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, আমরা প্রত্যাশা করি রমজান মাসে পণ্যের বাজার দর স্থিতিশীল থাকবে। আপনারা গত একমাসে যে লাভে পণ্য বিক্রি করেছেন, এ রমজানে তার থেকে কম মূল্যে পণ্য বিক্রি করবেন এটা আপনাদের কাছে আমাদের অনুরোধ। আমরা বাজার মনিটরিং করতে চাই না, জেল জরিমানা করতে চাই না। আসুন আমরা এ সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসি, আপনাদের (ব্যবসায়ীদের) বাজার আপনারাই মনিটরিং করেন। কিন্তু যারা খাদ্যে ভেজাল, মেয়াদহীন পণ্য বিক্রি করবে, তাদের জন্য কিন্তু কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪০ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৯
এসএইচএস/এইচএ/