মঙ্গলবার (২১ মে) শেরেবাংলা নগরে প্রধানমন্ত্রী ও এনইসির চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এনইসি সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ১ হাজার ৪৭৫টি প্রকল্পের মধ্যে বিনিয়োগ প্রকল্প ১ হাজার ৩৫৮টি, কারিগরি সহায়তা প্রকল্প ১১৬টি এবং জাপানি ঋণ মওকুফ সহায়তা তহবিলের (জেডিসিএফ) অর্থায়নে প্রকল্প ১টি এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা/করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে ৮৯টি প্রকল্প।
একক প্রকল্প হিসেবে এতো বেশি বরাদ্দ আর কোনো প্রকল্পে দেওয়া হয়নি। এছাড়াও স্বপ্নের পদ্মাসেতুর কাজ আরো এগিয়ে নিতে আগামী অর্থবছরের (২০১৯-২০) জন্য উন্নয়ন বাজেটে পদ্মাসেতু প্রকল্পে ৫ হাজার ৩৭০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে মেট্রোরেল প্রকল্পে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ৭ হাজার ২১২ কোটি টাকা।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি ৯১ লাখ টাকা। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে জ্বালানি তেলের পরিবর্তে এখন পরিবেশবান্ধব পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের দিকে যাচ্ছে দেশ। বাংলাদেশে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বিদ্যুৎস্বল্পতা যেমন দূর হবে, তেমনি বিদ্যুতের উৎপাদন খরচও অনেক কমে আসবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৬০ বছর নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। এর পেছনে বার্ষিক খরচ হবে মাত্র এক হাজার কোটি টাকা। বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে জাতি হিসেবে আমরা বিশ্ব পরিমণ্ডলে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবো বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড ব্যয়ের এই প্রকল্পে দু’টি ইউনিটের মাধ্যমে ২ হাজার ৪শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল পর্বের কাজ বাস্তবায়নে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে রাশিয়া ৪ শতাংশ সুদহারে ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা বা ১১ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে। ১০ বছরের রেয়াতকালসহ ২০ বছর মেয়াদে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে বাকি ২২ হাজার ৫২ কোটি ৯১ লাখ টাকা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন প্রকল্পটি বাস্তবায়নে করবে। প্রকল্পটি ২০১৬ থেকে শুরু হয়ে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৯
এমআইএস/এএ