ঢাকা, রবিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩২, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১২ রবিউস সানি ১৪৪৭

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘শিগগিরই ব্রাজিল-রাশিয়ার বাজারে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০:৪০, জুলাই ১৯, ২০১৯
‘শিগগিরই ব্রাজিল-রাশিয়ার বাজারে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ’ বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ফাইল ফটো

ঢাকা: আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে ব্রাজিল-রাশিয়ার মতো বড় রপ্তানি বাজারগুলোতে বাংলাদেশ প্রবেশ করতে পারবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, আমরা উপযুক্ত মূল্য আদায় করতে পারছি না। এজন্য আমাদের বার্গেনিং ক্যাপাসিটি বাড়াতে হবে ও উৎপাদন ব্যয় কমানোর চেষ্টা করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক্সপোর্ট এক্সিবিশনের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ সরকারের সাসটেইনেবল অ্যান্ড রিনিউঅ্যাবল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট অথোরিটির (এসআরইডিএ)  সহযোগিতায় আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অব অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রি প্রোসপেক্ট অ্যান্ড অবসটেকলস’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও মেশিনারিজ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

টিপু মুনশি বলেন, দেশের রপ্তানি বৃদ্ধি করতে নতুন বাজারে প্রবেশের চেষ্টা চলছে।

প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাণিজ্যে প্রতিযোগিতা করেই টিকে থাকতে হবে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প রাতারাতি বর্তমান অবস্থায় আসেনি। খুবই স্বল্প পরিসরে এ শিল্প যাত্রা শুরু করেছিল। অনেক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প আজ বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম। দেশের রপ্তানির প্রায় ৮৪ ভাগ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে।

তিনি বলেন, অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতকে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ দেখিয়েছে। দেশে এখন অনেক অত্যাধুনিক তৈরি পোশাক কারখানা আছে। গ্রিন ফ্যাক্টরির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তৈরি পোশাক শিল্পে বাংলাদেশ এখন অনেক শক্তিশালী। অনেক দেশে আমরা এ পণ্য রপ্তানি করতে পারি না। আমাদের পণ্যই অন্য দেশগুলো রপ্তানি করে লাভবান হচ্ছে। মধ্যস্থতাকারীরা লাভবান হচ্ছে। সেসব বাজারে আমাদের প্রবেশ করতে হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, শিল্প প্রতিষ্ঠানে আমাদের এনার্জির ব্যবহার কমিয়ে সোলারের ব্যবহার বাড়াতে হবে। বিশ্বমানের সোলার প্যানেল এখন বাংলাদেশেই তৈরি হচ্ছে ও বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। রিসাইক্লিং করে পানির ব্যবহার অনেক কমানো সম্ভব। এতে পণ্যের উৎপাদন খরচ অনেক কমে আসবে। বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় আমরা অনেক এগিয়ে যেতে পারবো। এ জন্য প্রয়োজন পণ্যের মূল্য নির্ধারণে দামাদামির দক্ষতা। ক্রেতারা সবসময় চাইবে, কমদামে পণ্য কিনতে। এক্ষেত্রে দক্ষতার বিকল্প নেই।  

তিনি বলেন, আমাদের দেশের পণ্যের মান ভালো ও বিশ্ববাজারে এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। চলমান রপ্তানি বাজারের পাশাপাশি ব্রাজিল ও রাশিয়ার মতো বড় বাজারগুলোতে প্রবেশ করতে পারলে বাংলাদেশের রপ্তানি অনেক বাড়বে। আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের প্রতি খুবই আন্তরিক। তিনি সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছেন। শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তার অবদান অনেক।

এসআরইডিএ’র সদস্য সিদ্দিক জোবায়েরের সঞ্চালনায়, বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন এসআরইডিএ’র চেয়ারম্যান মো. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও অনআস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, ইনোওয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ফার্নো সুসাই, বিকেএমইর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও প্লামি ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল হক, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইলসের প্রফেসর ড. মো. জুলহাস উদ্দিন ও এ্যাপলস গ্লোবাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিরেন্দ্র গয়াল।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৯
জিসিজি/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।