ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নতুন স্টক এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার কথা ভাবছে বিএসইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৯
নতুন স্টক এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার কথা ভাবছে বিএসইসি

ঢাকা: দেশে নতুন একটি স্টক এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠা করার কথা ভাবছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও কমিশনার প্রফেসর হেলাল উদ্দিন নিজামী। 

বুধবার (৩১ জুলাই) অনলাইন নিউজ পোর্টাল অর্থসূচকের উদ্যোগে অর্থসূচক ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো ২০১৯ পরবর্তী পুনর্মিলনী ও বিশেষ প্রকাশনা ‘সুবর্ণ আগামী’র মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ভাবনার কথা তুলে ধরেন।

হেলাল উদ্দিন নেজামী বলেন, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের পর স্টক এক্সচেঞ্জে যে ধরনের গুণগত পরিবর্তন আসার কথা ছিল, তা আসেনি।

এই এক্সচেঞ্জের দক্ষতা বাড়েনি। স্বচ্ছতা আসেনি। পুঁজিবাজারের উন্নয়নে এই এক্সচেঞ্জ কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা রাখতে পারছে না।  

তিনি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, এই স্টক এক্সচেঞ্জ আগামী দিনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থায়িত্বশীলতার চাহিদা পূরণে সক্ষম নয়। যদি তারা তাদের অবস্থান পরিবর্তনে সক্ষম না হয় তাহলে আমাদের ওই পথেই (নতুন স্টক এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠা) যেতে হবে।  

বিএসইসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, পুঁজিবাজার পরিচালনায় স্টক এক্সচেঞ্জের ম্যানেজমেন্ট চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন করা হয়েছিল বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায়, কতিপয় ব্রোকার-ডিলারের স্বার্থ রক্ষার জন্য নয়। কিন্তু সেটিই হচ্ছে। তাই আমাদের বিকল্পের কথা (নতুন স্টক এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠা) ভাবতে হচ্ছে। গত দুই মাস ধরে অনেক গুরুত্বের সঙ্গে ভাবা হচ্ছে এটি।

তিনি বলেন, সম্প্রতি বাজারে যে মন্দা দেখা যাচ্ছে তার জন্য মোটেও বিএসইসি দায়ী নয়। এর পেছনে থাকা অনেক কারণের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট। ব্যাংকের ঋণ নিয়ে ফেরত দেওয়া হচ্ছে না, লুটতরাজ চলছে-এর কোনোটির জন্যই বিএসইসি দায়ী নয়। বাজারের সাময়িক মন্দার পেছনে পিপলস লিজিং এর অবসায়নের ঘটনাও অনেকাংশে দায়ী। কিন্তু এর দায় বিএসইসির নয়। বাজারে বিটিআরসি ও গ্রামীণফোনের দ্বন্দ্বের ও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। কিন্তু এর দায়ও বিএসইসির নয়।

বিএসইসির কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি বা নীতি-কৌশলের প্রভাবে বাজারে দরপতন হয়নি দাবি করে প্রফেসর হেলাল উদ্দিন নিজামী বলেন, একটি মহল বিএসইসিকে দায়ী করছে। কথিত বিনিয়োগকারীরা মিছিল-মিটিং করে বিএসইসিকে দোষারোপ করছে। এর পেছনে কারও কারও সংশ্লিষ্টতা ও ইন্ধন আছে।  

তিনি সতর্ক করে বলেন, পুঁজিবাজার নিয়ে যারা পেছন থেকে খেলছেন, তারা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের শত্রু। বিএসইসি এ বিষয়ে সময়মত যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক প্রেসিডেন্ট শাকিল রিজভী, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক ছায়েদুর রহমান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আব্দুল মতিন পাটোয়ারী, রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান।  

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অর্থসূচকের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কামরুন নাহার শরমিন। অর্থসূচক সম্পাদক জিয়াউর রহমান এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে এক্সপোর স্পন্সর ও স্টলে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) সভাপতি ও ইটিভির প্ল্যানিং এডিটর সাইফ ইসলাম দিলাল এবং দৈনিক সমকালের বিজনেস এডিটর জাকির হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৯
এসএমএকে/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।