ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্রণোদনায় ২০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্সের আশা অর্থমন্ত্রীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০১৯
প্রণোদনায় ২০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্সের আশা অর্থমন্ত্রীর অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল

ঢাকা: রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ প্রণোদনা দিলে চলতি অর্থবছরে ২০ বিলিয়ন (২ হাজার কোটি) ডলার রেমিট্যান্স আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বুধবার (০৭ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থনৈতিক বিষয়ক ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে এক প্রশ্নে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, রেমিট্যান্সে প্রণোদনা দিলে রেমিট্যান্স পাঠানোর হারও বেড়ে যাবে। একসময় ইতালি, সৌদি আরবসহ কিছু দেশ ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠালে আগে চার্জ নিতো না। এখন তারা চার্জ বসিয়েছে। তাই প্রবাসীরা হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। এই প্রণোদনা দেওয়ার ফলে তারা আর হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাবে না। ফলে ব্যাংকিং চ্যানেলে তা বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলার হবে বলে আশা করছি।

রেমিট্যান্স যারা পাঠান তাদের কীভাবে প্রণোদনা দেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, যে ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠাবে সে ব্যাংকগুলোই তাদেরকে প্রণোদনার অর্থ দেবে। রেমিট্যান্স প্রেরণকারী ১০০ ডলার পাঠালে ব্যাংকগুলো তাদের ১০২ ডলার দেবে। পরবর্তীতে ব্যাংগুলোকে সরকার সে অর্থ পরিশোধ করে দেবে।

সম্প্রতি অর্থমন্ত্রণালয় কোনো প্রবাসী এক হাজার ৫০০ ডলার রেমিট্যান্স পাঠালে তাকে কোনো প্রশ্ন না করে পাঠানো অর্থের বিপরীতে শতকরা ২ ভাগ আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ে। বর্তমান বাজেটেও এ সংক্রান্ত ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেউ যদি এর বেশি অর্থ পাঠান তার কাছে কিছু কাগজপত্র চাওয়া হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরি করছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিট্যান্সের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ। এর আগে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ মার্কিন ডলার।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৯ 
জিসিজি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।