ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সিলেট চেম্বারের মর্যাদার লড়াইয়ে নেতৃত্বে আসছেন কারা?

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯
সিলেট চেম্বারের মর্যাদার লড়াইয়ে নেতৃত্বে আসছেন কারা? সিলেট চেম্বারের মর্যাদার লড়াইয়ে নেতৃত্বে কারা আসছেন?

সিলেট: সিলেটে ব্যবসায়ীদের সবচেয়ে বড় সংগঠন চেম্বার অব কমার্সের মর্যাদার লড়াইয়ে নেতৃত্বে কারা আসছেন? এ নিয়ে গুঞ্জন চলছে।

এবার পরিবার তন্ত্র ভেঙে নতুনের ইতিহাস সূচিত হবে, নাকি পুরনো ধারার পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে? মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই জানা যাবে বাতাসে ভেসে বেড়ানো সেই কাঙ্ক্ষিত সেই প্রশ্নোত্তর।

এরই মধ্যে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে গেছে ভোটগ্রহণ।

ভেন্যু হিসেবে নগরের ধোপাদিঘীর পাড় ইউনাইটেড কমিউনিটি সেন্টারে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে।

নির্বাচনে মোট ২ হাজার ৪৬৫ জন ভোটার আগামী ২ বছরের জন্য তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। এমরধ্যে অর্ডিনারি ক্যাটাগরিতে ভোট দেবেন ১ হাজার ৪১৩ জন, অ্যাসোসিয়েট ১ হাজার ৪০ জন, ট্রেড গ্রুপ ১১ ও টাউন অ্যাসোসিয়েশন ১ জন।

প্রত্যেক ভোটার অর্ডিনারি শ্রেণীতে ১২টি ভোট, অ্যাসোসিয়েট শ্রেণীতে ৬টি এবং ট্রেড গ্রুপে ৩টি করে ভোট দেবেন। নির্ধারিত সংখ্যার চাইতে ভোট বেশি বা কম হলে ব্যালট পেপার বাতিল বলে গণ্য হবে।

পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের ব্যানারে প্রার্থী হয়েছে সাবেক ব্যবসায়ী নেতাদের অনেকে। আবার সাবেক তিন চেম্বার সভাপতির প্যানেল হিসেবে রয়েছে সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদ।

দুইটি প্যানেলে বিভক্ত প্রার্থীদের মধ্যে অর্ডিনারি শ্রেণীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৪ জন। অ্যাসোসিয়েট শ্রেণীতে ১০ জন এবং ট্রেড গ্রুপে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। টাউন অ্যাসোসিয়েশন শ্রেণীতে একক প্রার্থী হিসেবে শমশের জামাল এরই মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচনে চার ক্যাটাগরিতে ২২টি পদে মোট ৪১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জানায় নির্বাচনী বোর্ড সূত্র।

নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন খান এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা। আমরা তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি।

তিনি বলেন, ১৩টি বুথে ভোটগ্রহণ চলছে। বুথ প্রতি একজন করে প্রিজাইডিং অফিসার রয়েছেন। আরও একজন রাখা হয়েছে অতিরিক্ত। এছাড়া সহকারী প্রিজাইডিং ও পুলিশ অফিসার ১৬ জন ভোটগ্রহণের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। সকাল থেকে নির্বাচন খুব শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী অর্ডিনারি শ্রেণীর প্রার্থীরা হলেন- আবু তাহের, মো. শোয়েব, মো. মামুন কিবরিয়া সুমন, এনামুল কুদ্দুছ চৌধুরী, মুকির হোসেন চৌধুরী, হুমায়ুন আহমদ, মো. ফারুক আহমদ, মো. নজরুল ইসলাম, জুবায়ের রকিব চৌধুরী, আক্তার হোসেন খান, আব্দুল হাদী পাবেল, শহিদ আহমদ চৌধুরী ও মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, এহতেশামুল হক চৌধুরী, মো. সাহিদুর রহমান, ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, মুশফিক জায়গীরদার, মো. আব্দুর রহমান (জামিল), খন্দকার ইসরার আহমদ রকি, মো. শফিকুল ইসলাম, শান্ত দেব, মো. আব্দুস সামাদ, খলিলুর রহমান চৌধুরী, ফখর উস সালেহীন নাহিয়ান, আলীমুল এহছান চৌধুরী।

অ্যাসোসিয়েট শ্রেণীতে প্রার্থীরা-মাসুদ আহমদ চৌধুরী (মাকুম), মো. এমদাদ হোসেন, পিন্টু চক্রবর্তী, আব্দুর রহমান, চন্দন সাহা, মো. আতিক হোসেন, ইলিয়াছ উদ্দিন লিপু, কাজী মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. আবুল কালাম ও মনোরঞ্জন চক্রবর্তী সবুজ।

ট্রেড গ্রুপের প্রার্থীরা- মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. মাহবুবুল হাফিজ চৌধুরী (মসফিক), মো. নুরুল ইসলাম, তাহমিন আহমদ, মো. আমিনুজ্জামান জোয়াহির ও ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯
এনইউ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।