ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘দেশের জন্য ক্ষতিকর ব্যক্তিকে আমরা ঋণ দেবো না’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৯
‘দেশের জন্য ক্ষতিকর ব্যক্তিকে আমরা ঋণ দেবো না’

ঢাকা: প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান ডা. এইচ বি এম ইকবাল বলেছেন, ব্যাংকের কর্মকর্তারা যদি সঠিক পথে থাকেন, তাহলে কোনো দিনই কোনো খারাপ প্রতিষ্ঠান ঋণ পাবে না। খারাপ প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়ার জন্য কর্মকর্তারাই দায়ী।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর ইকবাল সেন্টারে প্রিমিয়ার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ২০ বছর পূর্তি ও ২১ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডা. ইকবাল বলেন, বিশ্বাস করেন আমাকে; নিজের ঘর যদি ঠিক থাকতো, তাহলে কখনোই বিসমিল্লাহ গ্রুপকে ঋণ দেওয়া হতো না।

এখানে আমাদের কর্মকর্তারা জড়িত ছিলেন বলেই ঋণ পেয়েছিল ওই গ্রুপ। না হলে ঋণ পাওয়ার কোনো কারণ নেই।
 
তিনি বলেন, আমি ব্যাংকার নই। ব্যাংকারদের সঙ্গে ২০ বছর ধরে চলে চলে একটু একটু করে শিখছি। কিংবা একটু একটু করে ব্যাংকারদের বুঝতে পারছি। ব্যাংকের এমডি, উপদেষ্টা, বিশেষ করে একটি শাখার ম্যানেজার চাইলে এক টাকাও খেলাপি হবে না। কোনোভাবেই সম্ভব না। ব্যাংকের শাখার ম্যানেজার, এমডি ও ক্রেডিট ডিভিশন যদি সচেতন থাকে, ঠিক থাকে, ওই ব্যাংকে খেলাপি ঋণ, মন্দ ঋণ যেটাই বলেন- হবে না।

প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, প্রথম দিকে আমাদের কিছু মিসটেক হয়েছে। আমরা ম্যানেজারদের ট্রাস্ট করেছি। তারা নিয়ম ভাঙছে। বিসমিল্লাহ যেটা করেছে ডাকাতি। ডাকাতি, চুরি এবং ফ্রডকে কীভাবে টাকা দেবো- আমি রাস্তা দেখি না। একবার যদি কেউ আপনার সঙ্গে ফ্রড করে, প্রমাণ পান তাকে তো টাকা দিয়ে সাহায্য করতে পারবো না। আমরা অন্যভাবে সাহায্য করবো, কিন্তু ঋণ দিয়ে সাহায্য করতে পারবো না।

ডা. ইকবাল বলেন, বর্তমান এমডি যোগদানের সময় আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি থাকাকালীন কোনো ব্যাড লোন দেবেন না। একজন মুসলিম হিসেবে আমাকে কমিটমেন্ট দিয়েছেন। আমি কিন্তু এটা মনে রেখেছি।  ব্রাঞ্চ ম্যানেজার ও এমডি না চাইলে কোনোভাবেই ব্যাড ঋণ দেওয়া সম্ভব নয়। একজন পরিচালক বা চেয়ারম্যান চাইলেও এমডি ব্যাড ঋণ না দিলে নিতে পারবে না। আমি আজ নয়, অনেক আগেই ঘোষণা দিয়েছি, আপনারা ব্যাংক ও দেশের জন্য ক্ষতিকর হলে বলবেন, এজন্য আমরা আপনাকে ঋণ দিতে পারছি না।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী এম রিয়াজুল করিম (এফসিএমএ) বলেন, ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৬৫০ কোটি টাকা বা মোট ঋণের ৪ শতাংশ। ক্রমাগত কমে আসছে। এসব খেলাপি ঋণের বিপরীতে শতভাগ প্রভিশন রাখা আছে।  ২১টি শাখায় কিছু মন্দ ঋণ আছে। বাকিগুলোতে নেই। এক বছরের ব্যবধানে আমাদের ব্যাংকের আমানতে ২২ শতাংশ, মুনাফায় ১৫ শতাংশের বেশি, রেমিট্যান্স আহরণে ৫৪ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আশা করছি, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এই ব্যাংকটি সব ধরনের সূচকে দেশের শীর্ষ পর্যায়ের একটি ব্যাংক হয়ে উঠবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান মঈন ইকবাল, পর্ষদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী, মোহাম্মদ ইমরান ইকবাল, জামাল জি আহমেদ, উপদেষ্টা মুহাম্মদ আলীসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৯
এসই/এবি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।