বুধবার (১ জানুয়ারি) সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের বড়দহ সমলাপাড়ায় উত্তর সোনাখুলি গ্রামে মাঠভরা ফুলকপির আবাদ। আগাম আবাদ করা হয়েছে এসব।
কৃষক দীপানাথের (৪৮) সঙ্গে ফসলের মাঠে কথা হয়। তিনি জানান, গেলো বছর অক্টোবরে জমিতে ফুলকপির চারা লাগিয়েছিলাম। বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। ৬০-৬৫ দিনের মধ্যে ফলন মিলেছে। সঙ্গে সঙ্গে ঢাকার পাইকাররা ট্রাক নিয়ে হাজির।
ঢাকার কাওয়ানবাজার থেকে আসা ব্যবসায়ী দবিরুল ইসলাম (৪০) সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, বাজার থেকে নয়, সরাসরি কৃষকের মাঠ থেকে ফুলকপি কিনতে এসেছি। বোতলাগাড়ির ফুলকপি বেশ স্বাদের। তাই ঢাকার বাজারে বেশি বেশি কদর রয়েছে। প্রতিটি ফুলকপি আকার ভেদে কেনা হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। এর ফলে প্রতিবিঘা (৩৩ শতাংশ) জমির ফসল বেচে ৪০ থেকে সর্বোচ্চ ৪২ হাজার টাকা লাভ করছেন।
ওই এলাকার দ্বীজেন রায় ও রাজেন রায়ের জমিতে ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। বড়দহ গ্রামের কৃষক মোবারক আলী (৫৮) বাংলানিউজকে জানান, গেলো বছর জমির ফুলকপি বিক্রি করে ভালো লাভবান হয়েছি। এবারও আড়াই বিঘা জমিতে ফুলকপির আবাদ করেছি। এর মধ্যে এক বিঘা জমির ফসল বিক্রি হয়েছে। ওই টাকায় ছেলের জন্য মোটরসাইকেল কিনেছি।
বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের গ্রামগুলো ঘুরে সবুজের সমারোহ চোখে পড়ে। এ সবই প্রায় ফুলকপির জমি।
কৃষক রাজেন (৪০) জানান, মাত্র দুই মাসে ফুলকপির ফলন মিলেছে। কাজেই একই জমিতে ফুলকপি তুলে ভুট্টার আবাদ করা যাবে। বড়দহ এলাকায় কৃষির অবস্থা দেখভাল করতে এসেছিলেন সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ( ভারপ্রাপ্ত) শাহিনা বেগম।
তিনি আরও জানান, এখানকার ফুলকপি অনেক ফ্রেশ ও কীটনাশকমুক্ত। তাই ঢাকার বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমাদের পরামর্শে কৃষকরা আগাম ফসল ফলিয়ে লাভের মুখ দেখছেন। সরাসরি বিক্রির কারণে মধ্যস্বত্বভোগীরা কোনো সুবিধা করতে পারেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৯
এএটি