ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

এইচএসবিসি বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেলো ওয়ালটন

বিজনেস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২০
এইচএসবিসি বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেলো ওয়ালটন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির কাছে থেকে পুরস্কার গ্রহণ করছেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-এর পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম।

ঢাকা: ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনের স্বীকৃতিস্বরূপ হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশনের (এইচএসবিসি) কাছ থেকে সেরা আমদানি বিকল্প পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের পুরস্কার পেয়েছে ওয়ালটন গ্রুপ।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) ওয়ালটন থেকে পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনের স্বীকৃতিস্বরূপ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘ফার্স্ট এইচএসবিসি বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস’ অনুষ্ঠানে ওয়ালটনসহ মোট আটটি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেওয়া হয়।

‘বেস্ট ইন ইমপোর্ট সাবস্টিটিউশন’ ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার জিতে নেয় দেশের ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য জায়ান্ট ওয়ালটন। ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কিংবা তারও বেশি আমদানি বিকল্প পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সেরা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কার পেলো ওয়ালটন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির কাছে থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-এর পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফ্রাঁসোয়া দ্য ম্যারিকো এবং ডেপুটি সিইও মাহবুব উর রহমান।

এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক আবুল বাশার হাওলাদার, আন্তর্জাতিক ব্যবসা ইউনিট (আইবিইউ) প্রেসিডেন্ট অ্যাডওয়ার্ড কিম, ফার্স্ট সিনিয়র অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর শাহানা আক্তার শম্পা, ডেপুটি ডিরেক্টর মুনিমা চৌধুরী নদী ও অগাস্টিন সুজন এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর মির্জা মারুফ-উর-রহমান।

পুরস্কার প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশে সব ধরনের ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য আমদানি হয়ে আসছিলো। কিন্তু এসব পণ্যের দাম বেশি হওয়ায় সবার পক্ষে কেনা সম্ভব ছিল না। দেশের মানুষ যাতে সাশ্রয়ী দামে প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য পেতে পারেন, সেজন্য ২০০৮ সালে নিজস্ব কারখানায় আমরা উৎপাদন শুরু করি। স্থানীয় আবহাওয়ার উপযোগী করে মানুষের পছন্দ, রুচি, চাহিদা ও ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে উৎপাদিত সর্বাধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ এসব পণ্য খুব অল্প সময়ে ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করে নিয়েছে। এর ফলে বিপুল পরিমাণ আমদানি ব্যয় হ্রাস পেয়েছে। ব্যাপক কর্মসংস্থান হয়েছে। পাশাপাশি এসব পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানির মাধ্যমে আসছে বৈদেশিক মুদ্রা।

তিনি আরও বলেন, এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে ওয়ালটনকে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ডে পরিণত করা। ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া। আমাদের বিশ্বাস খুব শিগগিরই বাংলাদেশ হবে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের হাব বা কেন্দ্র। এ লক্ষ্য অর্জনে ‘এইচএসবিসি বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রেরণা যোগাবে।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ওয়ালটন বিভিন্ন পুরস্কার ও স্বীকৃতি লাভ করেছে। যার মধ্যে পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ ক্যাটাগরিতে ২০১৮ সালের জাতীয় পরিবেশ পদক, বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড-২০১৯, ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড-২০১৫, গ্লোবাল ব্র্যান্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৪ এবং ডিএইচএল-ডেইলি স্টার বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড-২০১৪ উল্লেখযোগ্য। এছাড়া ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় শীর্ষ ভ্যাট প্রদানকারী হিসেবে গত ৮ বছর ধরে ওয়ালটন প্রথম পুরস্কার পেয়ে আসছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২০
আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।