ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

স্বস্তিতে সবজি, চড়া মাছ-মসলা-চালের বাজার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২০
স্বস্তিতে সবজি, চড়া মাছ-মসলা-চালের বাজার

ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা নিম্নমুখী রয়েছে সবধরনের সবজি। বাজারে সবজিভেদে কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে দাম। সবজির দাম কমলেও চড়া মাছ, মসলা ও চালের বাজার।

অন্যদিকে আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল, ডিম, পেঁয়াজ। তবে অপরিবর্তিত আছে গরু-খাসির মাংস, মুরগি, ডাল, লবণসহ অন্য পণ্যের দাম।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর কাঁঠাল বাগান, গ্রিনরোড, কারওয়ান বাজার (খুচরা বাজার), মালিবাগ, মালিবাগ রেলগেট, খিলগাঁও, রামপুরা, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি বাজার, ফকিরাপুল কাঁচা বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

এসব বাজারে কেজিপ্রতি পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমে প্রতিকেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো (আধা কাঁচা) ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শসা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম (কালো) ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, শিম (সাদা) ২৫ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৭০ টাকা, নতুন আলু ৩০ টাকা, পটল ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ঝিঙা-ধুন্দল-চিচিংগা ৩০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, উস্তা ৫০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁপে ১৫ থেকে ২৫ টাকা কেজিদরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

কেজিতে ২০ টাকা কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। বর্তমানে কাঁচা মরিচ ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এছাড়া আকারভেদে প্রতিপিস বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, ফুলকপি ১৫ থেকে ২৫ টাকা, লাউ ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। দাম অপরিবর্তিত আছে শাকের বাজার। প্রতিআটি (মোড়া) কচুশাক পাঁচ থেকে সাত টাকা, লালশাক আট টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, পালংশাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, লাউশাক ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

দেশি পেঁয়াজের দাম না কমলেও গাছসহ পেঁয়াজের দাম কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে গাছসহ দেশি পেঁয়াজ ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিদরে। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা, মিশর ৮০ টাকা, বার্মা ৯০ টাকা এবং চায়না পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিদরে।

মোহাম্মদ নাসিম নামে কাঁঠাল বাগান বাজারের এক ক্রেতা বলেন, সবজির দাম কমলেও চাল, মাছ-মাংসের দাম কমছে না। আমরা মধ্যবৃত্তরা যা আয় করছি, তার সব শেষ হয়ে যাচ্ছে নিত্যপণ্যের কেনাকাটায়। সবকিছুর মূল্য ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকা উচিত।

শরিফ নামে এ বাজারে এক বিক্রেতা বলেন, আমরা যেমন দরে মালামাল সংগ্রহ করি, তেমন দামেই বিক্রি করি। কোনো পণ্যের দাম পাইকারে বাড়লে খুচরাতে বাড়ে। কাঁচামাল আমদানি নির্ভর।

দাম বেড়েছে সবধরনের মাছের। এসব বাজারে প্রতিকেজি কাচকি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজি, মলা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, ছোট পুঁটি (তাজা) ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, শিং ৩৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, চিংড়ি (গলদা) ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, বাগদা ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি চিংড়ি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা, মৃগেল ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, পাঙাস ১২০ থেকে ১৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, কৈ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কাতল ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এসব বাজারে প্রতিকেজি বয়লার মুরগি ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা, লেয়ার ১৯০ থেকে ২২০ টাকা, সাদা লেয়ার ১৭০ থেকে ২০০ টাকা, সোনালি ২৬০ থেকে ২৮০ কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা, খাসি ৭৮০ টাকা ও বকরি ৭২০ টাকা।

আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল। খোলা সয়াবিন (লাল) বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা লিটার। খোলা সাদা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা লিটার। এছাড়া অপরিবর্তিত আছে ডিম, চাল, ডাল, আদা, রসুন, সরিষার তেল।

বাজারে চড়া চাল ও মসলার বাজার। এসব বাজারে বস্তাপ্রতি ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতিবস্তা চিনিগুড়া চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০০০ হাজার থেকে পাঁচ হাজার ২৫০ টাকা, মিনিকেট (নতুন) ২৪৫০ টাকা, মিনিকেট (পুরানো) ২৫০০ থেকে ২৫৫০ টাকা, আটাশ ১৮৫০ টাকা, বিভিন্ন প্রকার নাজির শাইল চাল প্রতিবস্তা বিক্রি হচ্ছে ২২৫০ টাকা থেকে তিন হাজার টাকা।

এসব বাজারে প্রতিকেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৪৬০০ থেকে ৫৫০০ টাকা কেজিদরে। অথচ এক/দেড় মাসে আগে এলাচ বিক্রি হয়েছিল ২৭০০ থেকে ৩০০০ টাকা কেজিদরে। বর্তমানে জয়ত্রী বিক্রি হচ্ছে ৩৫০০ থেকে ৩৬০০ টাকা কেজিদরে। এর আগে জয়ত্রী বিক্রি হয়েছিল ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকা কেজিদরে। জায়ফল গত দেড় মাসে দুই গুণ বেড়ে তা বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজিদরে। এর আগে জায়ফল বিক্রি হয়েছিল ৪০০ থেকে ৪৬০ টাকা কেজিদরে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২০
ইএআর/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।