ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সুন্দরবনে পর্যটক টানতে ২৮ কোটি টাকার প্রকল্প

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২০
সুন্দরবনে পর্যটক টানতে ২৮ কোটি টাকার প্রকল্প

ঢাকা: দেশে পর্যটনের বিকাশে সুন্দরবনে ২৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা হবে ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র। পর্যটক আকর্ষণের জন্য বাড়ানো হবে সুযোগ সুবিধা। 

একইসঙ্গে সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে বনজ সম্পদের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে কাজ করা হবে।  

‘সুন্দরবনে পরিবেশবান্ধব পর্যটন বা ইকোট্যুরিজম সুবিধা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য সুন্দরবনে পরিবেশবান্ধব পর্যটন সুবিধা সম্প্রসারণের মাধ্যমে প্রতিবেশ সুরক্ষা এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করা। এ জন্য সাড়ে ৬ হাজার বর্গমিটারের একটি আরসিসি ফুট ট্রেইল, একটি ইন্টারপ্রিটেশন ও ইনফরমেশন সেন্টার, সাতটি স্যুভেনির শপ নির্মাণ করা হবে। বন কর্মকর্তা, কর্মচারী, ইকো-ট্যুর অপারেটর, গাইড কো ম্যানেজমেন্ট কমিটির ৬০০ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। স্থানীয়দের সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বিলি করা হবে লিফলেট।
 
চলতি সময় থেকে জুন ২০২২ মেয়াদে সুন্দরবনকে ঘিরে এ বিশাল কর্মযজ্ঞ হাতে নিতে যাচ্ছে বন অধিদপ্তর।

বন অধিদপ্তর সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় সাতটি ফাইবার বডি ট্রলার, তিনটি পন্টুন ও গ্যাংওয়ে, তিন কিলোমিটার আরসিসি সড়ক, ছয়টি পাবলিক টয়লেট, সাড়ে ৮ হাজার ঘনমিটার পুকুর খনন, একটি সেডশহ প্রদর্শনী ম্যাপ, ৩০টি আরসিসি বেঞ্চ নির্মাণ করা হবে। পাঁচটি গাইড ম্যাপ, ২০টি ডাস্টবিন, ১০টি পর্যটকদের জন্য পথ নির্দেশনা তৈরি করা হবে।  
 
প্রকল্পটি সুন্দরবনের পশ্চিম ও সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগে বাস্তবায়িত হবে। বর্তমানে সুন্দরবনে ইক্যোট্যুরিজম কেন্দ্র হিসেবে করমজল, হাড়বাড়িয়া, কটকা, কচিখালী, দুবলারচর, হিরণপয়েন্ট, কলাগাছিয়া রয়েছে। ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র সম্প্রসারণের জন্য সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগে আন্দারমানিক  ও শরণখোলা ও সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগে শেখেরটেক মন্দির রয়েছে। এছাড়া সুতারখালী এলাকার কৈলাশগঞ্জ ও কলাবগী এলাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন চারটিসহ মোট ১১টি ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা কমিটির আওতাভূক্ত। ব্যবস্থাপনা কমিটির আওতায় ৩৪ হাজার গ্রাম সংরক্ষণ দলের সদস্য রয়েছে। কমিটিকে সম্পৃক্ত করে ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে বনের ওপর নির্ভরশীলতা কমানো হবে।

প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ‘সুন্দরবনের সম্পদের ওপর চাপ কমানো ও স্থানীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যেই প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হচ্ছে। পর্যটনের বিকাশ হলে স্থানীয়রা ঝুঁকিপূর্ণ পেশা ছেড়ে দেবে। ফলে সুন্দরবনের ওপর নেতিবাচক চাপও কমবে। পর্যটকদের সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হবে। পর্যবেক্ষণ টাওয়ার করা হবে। প্রতিবেশ পরিবেশ ঠিক রেখে ঝুলন্ত ব্রিজসহ অন্য অবকাঠামোও গড়ে তোলা হবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২০
এমআইএস/এইচএডি/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।