ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

জিএসপি সুবিধা বহাল রাখার পক্ষে ইইউয়ের ন্যায়পাল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২০
জিএসপি সুবিধা বহাল রাখার পক্ষে ইইউয়ের ন্যায়পাল

ঢাকা: ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা (জিএসপি) বহাল রাখার পক্ষে মত দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এর ন্যায়পাল কার্যালয়।

বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্য বিষয়ে ইইউ ন্যায়পাল কার্যালয়ের এ ধরনের একটি ইতিবাচক রায় দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (১ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে শ্রম প্রতিমন্ত্রী শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আলী আজম এর নেতৃত্বে মন্ত্রণালয়ের এ দলগত অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বাণিজ্য, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, আইন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বেপজাসহ সংশ্লিষ্ট সব দফতরের যেসব কর্মকর্তা এ কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন (আইটিইউসি), ক্লিনক্লথ ক্যামপেইনসহ শ্রম অধিকার নিয়ে কাজ করে এরূপ চারটি আন্তর্জাতিক সংগঠন বাংলাদেশের শ্রমমান নিয়ে প্রশ্ন তুলে ২০১৬ সালে ইইউভুক্ত দেশগুলোর জিএসপি সুবিধা সাময়িক প্রত্যাহারের আবেদন জানায়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইইউ’র শ্রমমান নিয়ে বাংলাদেশকে শ্রম আইন ও শ্রম বিধিমালা যুগোপযোগী করা, ইপিজেড শ্রম আইন সংশোধন, শ্রম আদালতের সংখ্যা বাড়ানো, শিশু শ্রম নিরসন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পরিদর্শক নিয়োগ, শ্রমিক হয়রানি বন্ধ, জবরদস্তিমূলক শ্রম বিষয়ক প্রোটোকল-২৯ এবং ন্যূনতম বয়স বিষয়ক আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কনভেনশন-১৩৮ অনুস্বাক্ষরসহ নয়টি বিষয়ের কাজের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে। শ্রম মন্ত্রণালয়ের চার বছরব্যাপী বিভিন্ন পদক্ষেপে গত ২৪ মার্চ ইইউ ন্যায়পাল কার্যালয় আন্তর্জাতিক চারটি সংগঠনের ওই আবেদন খারিজ করে দেয়।  

ইতোমধ্যে শ্রম আইন, ইপিজেড আইন সংশোধন করা হয়েছে, শ্রম বিধিমালা যুগোপযোগী করার কাজ চলছে, শিশু শ্রম নিরসনে কাজ শুরু হয়েছে, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের জনবল নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তারপরও এ বিষয়গুলোতে প্রয়োজনে আরো উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানানো হয়।  

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন যৌথভাবে কাজ করার ফলস্বরুপ এ সফলতা এসেছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরো জানানো হয়,  শ্রম মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপগুলোকে ইতিবাচকভাবে নিয়ে গত বছরের অক্টোবরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফরকালে সরকার ও ইইউ একটি রোডম্যাপ প্রণয়নে ঐক্যমতে পৌঁছে এবং তাদের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার চলতি বছরের ২ জানুয়ারি একটি রোডম্যাপ ইউরোপীয় কমিশনের কাছে জমা দেয়। এর পরিপ্রেরিতে রোডম্যাপটি আলাপ আলোচনার মাধ্যমে চুড়ান্ত করে ইবিএ এর আওতায় জিএসপি সুবিধা অব্যাহত রাখার বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ইইউ এর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২০
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।