ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্রণোদনা প্যাকেজের ২ হাজার কোটি টাকা ছাড়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২০
প্রণোদনা প্যাকেজের ২ হাজার কোটি টাকা ছাড়

ঢাকা: রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য ঘোষিত ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের প্রথম কিস্তি ২ হাজার কোটি টাকা ছাড় করেছে অর্থ বিভাগ। সম্প্রতি এ অর্থ ছাড় করা হয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

অর্থ ছাড় পত্রে বলা হয়েছে, ছাড়াকৃত অর্থ দিয়ে যেসব প্রতিষ্ঠান ন্যূনতম ৮০ শতাংশ পণ্য রপ্তানি করে তাদের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন দেওয়া হবে। তবে এই তহবিল থেকে এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোনো কর্মকর্তার বেতন-ভাতা দেওয়া যাবে না।

পাশাপশি যেসব প্রতিষ্ঠান লে-অফ ঘোষণা করে তবে তারা এ তহবিল থেকে ঋণ সুবিধা পাবে না।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, স্বল্প সময়ে বেতন প্রদানে জটিলতা এড়াতে ঋণের প্রথম কিস্তির অর্থছাড়ে শ্রমিকদের তালিকা প্রণয়নসহ (ডাটা বেজ) আনুষঙ্গিক তথ্যের শর্তটি শিথিল করা হয়েছে। এর মধ্যে শ্রমিকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা মোবাইল ব্যাংকের তথ্যও রয়েছে। তবে দ্বিতীয় কিস্তির ঋণের অর্থ ছাড়ের ক্ষেত্রে এগুলো পরিপূর্ণভাবে দিতে হবে। গত ২৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রণোদনা ঋণ তহবিলের ঘোষণা দেন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা জারি করেছে। নীতিমালা অনুযায়ী, যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠান মোট উৎপাদনের ন্যূনতম ৮০ শতাংশ রপ্তানি করে, তারা রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২ শতাংশ সার্ভিস চার্জে এ তহবিলের অর্থ পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবে। যেসব কারখানা সচল আছে, তারাই কেবল এ ঋণ পাবে। কোনো প্রতিষ্ঠান লে-অফ করলে এ তহবিল থেকে ঋণ নিতে পারবে এটি নতুন করে যুক্ত করেছে অর্থ বিভাগ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালায় আরও বলা হয় যেসব প্রতিষ্ঠান ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন-ভাতা ইতোমধ্যে দিয়ে দিয়েছে, তারাই কেবল সচল কারখানা হিসেবে বিবেচিত হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান তিন মাসের বেতন-ভাতা দেওয়ার সমপরিমাণ অর্থ ঋণ হিসেবে নিতে পারবেন এ তহবিল থেকে। এ তিন মাস হচ্ছে-এপ্রিল, মে ও জুন। এ ঋণের গ্রেস পিরিয়ড হবে ছয় মাস। ঋণের পুরো অর্থ শোধ করতে তারা দুই বছর সময় পাবেন। ছয় মাস গ্রেস পিরিওডের পরের ১৮ মাসে ১৮ কিস্তিতে ঋণের টাকা শোধ দিতে হবে। কোনো ঋণ গ্রহীতার ঋণের কিস্তি যথাসময়ে পরিশোধিত না হলে প্রচলিত নিয়মে ওই ঋণ শ্রেণিকরণ করা হবে এবং ঋণ গ্রহীতা খেলাপি হিসেবে বিবেচিত হবে। এক্ষেত্রে বকেয়া কিস্তির উপর ২ শতাংশ হারে সুদ আরোপ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৬১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২০
জিসিজি/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।