ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

করোনায় প্রতিমাসে ই-কমার্স খাতের ক্ষতি ৬৬৬ কোটি টাকা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৪ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২০
করোনায় প্রতিমাসে ই-কমার্স খাতের ক্ষতি ৬৬৬ কোটি টাকা

ঢাকা: প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ই-কমার্স খাতে প্রতিমাসে ক্ষতির পরিমাণ ৬৬৬ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। 

বুধবার (১৩ মে) করোনা ভাইরাস সংক্রমণজনিত সাধারণ ছুটি চলাকালীন জনসাধারণকে সহযোগিতা করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ই-ক্যাবের ই-কমার্স সংক্রান্ত গৃহীত পদক্ষেপ এবং সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

সম্মেলনে ই-ক্যাবের অর্থ সম্পাদক আব্দুল হক অনু করোনা ভাইরাসের প্রভাবে ই-কমার্স খাতের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ই-ক্যাব যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

প্রতিবেদনে আব্দুল হক অনু বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে প্রায় দেড় মাস ধরে দেশে লকডাউন অবস্থা বিরাজ করেছে। তাই ই-কমার্স খাতের প্রায় ৯০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না।  

তিনি জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে ই-কমার্সের বাজার ৮ হাজার কোটি টাকার। এ সেক্টকরে কাজ করছে ১ লাখ ২৫ হাজার কর্মী। এর মধ্যে ২৬ শতাংশ নারী এবং ৭৪ শতাংশ পুরুষ। ই-ক্যাবের মোট মেম্বার ১ হাজার ১০০ জন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জিডিপিতে ই-কমার্সের অবদান দশমিক দুই শতাংশ। বর্তমানে দেশে প্রতিদিন ৮০ হাজার পরিবার ই-কমার্সের থেকে সেবা নিয়ে থাকেন। কারোনা ভাইরাসের কারণে মোট ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। এসব প্রতিষ্ঠান বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিত্যপণ্য ও ওষুধ সরবরাহ করেছে।

‘করোনা ভাইরাসের কারণে স্বাভাবিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারায় ই-কমার্স খাতে প্রতিমাসে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৬৬৬ কোটি টাকা। ’

এ বিষয়ে ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার বলেন, আমাদের ই-কমার্স খাতে ৫ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। তবে করোনাকালে প্রায় ৯০ শতাংশ ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেনি। যারা সীমিত আকারে কাজ করেছে তারাও সে অর্থে ব্যবসা করেনি, যেটুকু পেরেছে মানবসেবা করেছে।

তিনি বলেন, এখন ই-কমার্স খাতে আলাদা খাত ঘোষণা করার সময় এসেছে। কারণ আমরা ব্যাংকঋণ নিতে গেলে সমস্যায় পড়তে হবে। আমরা যদি প্রণোদনা নাও পাই তারপরও আমরা আগামী কয়েক বছরের জন্য করপোরেট ট্যাক্স মওকুফ চাই।  

পাশাপাশি করোনাকালীন ২ শতাংশ সুদে ১ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ব্যাংকঋণ দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।  

সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দেশে ই-বাণিজ্য প্রসারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। দেশে ই-কমার্সের প্রসার ঘটানো প্রয়োজন। চলমান পরিস্থিতিতে যারা কর্মহীন হয়েছেন, তাদের ই-কমার্সে কাজে লাগানো যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বাপ্ন বাস্তবায়ন এবং কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ই-কমার্সের গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে।  

যৌথ সংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ই-ক্যাবের উপদেষ্টা সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, এফবিসিসিআইর প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ওবায়দুল আজম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ই-বাণিজ্য করব নিজের ব্যবসা গড়ব প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান এবং ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২০
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।