ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

২ শতাংশ সুদে ঋণ চায় বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলো

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪১ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২০
২ শতাংশ সুদে ঋণ চায় বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলো এএবির লাইভ সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা: করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে ব্যবসায়িক ক্ষতি পুষিয়ে টিকে থাকার জন্য সরকারের কাছ থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ সুবিধা চেয়েছে অ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ (এএবি)। এক বছরের খরচের ৭০ শতাংশ মূলধন হিসেবে সরল দুই শতাংশ সুদে তিন বছরের জন্য এ ঋণ সুবিধা চায় সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (১৯ মে) অনলাইনে একটি লাইভ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনের পক্ষ থেকে বেশকিছু দাবি দাওয়া তুলে ধরা হয়। এসময় গত ১৩ মে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বেশকিছু দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কথাও জানান সংগঠনের নেতারা।

এতে বক্তব্য রাখেন এএবির সভাপতি রামেন্দু মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক মুনির হোসেন, সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, গ্রে অ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাউসুল আজম শাওনসহ অন্যরা।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেওয়া স্মারকলিপিতে উল্লিখিত বিভিন্ন দাবি সম্পর্কে রামেন্দু মজুমদার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিবের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর আমরা একটি স্মারকলিপি দিয়েছি। এতে যেসব দাবি আমরা করেছি তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, ২০১৮ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত সরকারের কাছে উৎসে কাটা কর আমাদের যে অগ্রিম টাকাগুলো আছে সেগুলো সমন্বয় করা হোক। অথবা এখন থেকে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত আর কোনো অগ্রিম কর নেওয়া না হোক। কারণ বিজ্ঞাপন দেওয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আমাদের বিলের সঙ্গে উৎসে কাটা কর আগেই কেটে রাখেন। বছরের পর বছর পার হলেও সেটি সমন্বয় করা হয় না। সেই টাকা সরকারের কাছে অগ্রিম হিসেবে জমা আছে। দুই, অনেক মন্ত্রণালয়, সুরকারি-আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানে আমাদের বিল আটকে আছে। সেগুলো দেওয়া হোক। তিন, সব বিজ্ঞাপনদাতাকে বিল পরিশোধে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হোক। এতে করে গণমাধ্যমগুলোরও উপকার হবে। চার, এক বছরের খরচের হিসাবে ৭০ শতাংশ মূলধন হিসেবে সরল ২ শতাংশে তিন বছরের জন্য ঋণ দেওয়া হোক। এ ঋণ আমরা ঋণ নেওয়ার পরবর্তী ষষ্ঠ মাস থেকে কিস্তিতে পরিশোধ করা শুরু করবো এবং পাঁচ, বিজ্ঞাপন খাতকে প্রয়োজনীয় সেবাখাত হিসেবে ঘোষণা করা হোক। ’

তিনি বলেন, ‘মার্চের শেষ দিক থেকে এখন পর্যন্ত এ বিজ্ঞাপন শিল্পে কোনো আয় নেই। এতে আমাদের অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য এবং সদস্য যারা নন, তারাও গভীর সংকটে পড়েছেন। এ খাতে কপি রাইটার্স, ইভেন্ট প্ল্যানার্স, জনসংযোগ কর্মকর্তা, ডিজিটাল মার্কেটিং বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন পেশাজীবী আছেন। এভাবে প্রায় ১৮ হাজার পরিবার প্রত্যক্ষভাবে সরাসরি এ খাতের ওপর নির্ভরশীল, যারা গভীর সংকটে পড়েছেন। আমাদের এক হিসাব বলছে, ২০২০ সালের অনুমান করা ব্যবসার ৭০ শতাংশই আর হবে না। কিন্তু আমাদের ব্যয় ঠিকই আছে। এ আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। ’

সংবাদ সম্মেলনে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘এ সময়ে অনেক মিডিয়াই তাদের কর্মীদের বেতন দিতে পারছেন না। পত্রিকার সার্কুলেশন কমে গেছে। নিউজ টিভি মিডিয়া ছাড়া আর কারও তেমন বিজ্ঞাপন নেই। এ সংকট উত্তরণে আমরা সরকারের সাহায্য কামনা করছি। একইসঙ্গে বিজ্ঞাপনকে শিল্প খাত হিসেবে ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি। ’

সভায় বক্তারা আরও জানান, মুজিববর্ষকে কেন্দ্র করে চলতি বছর বাড়তি ব্যবসার অনুমান ছিল তাদের। সেই মোতাবেক অনেক লোকবলও নিয়োগ করা হয়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের বেশ বিপাকে পড়তে হয়েছে। তবে কর্মী ছাঁটাই করতে চান না তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২০
এসএইচএস/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।