ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সরকারি কর্মচারীদেরও কল্যাণের প্রয়োজন আছে: পরিকল্পনা মন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১১ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২০
সরকারি কর্মচারীদেরও কল্যাণের প্রয়োজন আছে: পরিকল্পনা মন্ত্রী ‘কভিড-১৯ জনিত আর্থসামাজিক ঝুঁকি থেকে উত্তরণ: অর্থায়ন ও নীতিকৌশল’ শিরোনামে অনলাইন সভা।

ঢাকা: পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, ‘সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে পেনশন ঢুকে পড়ায় বিষয়টি নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। অনেকেই চাচ্ছেন যেন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ব্যয় আলাদা করে দেখানো হয়। তাদের একটা ধারণা অনেকগুলো ব্যয় এর মধ্যে ঢোকার ফলে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মুল উপকারভোগীদের বিষয়টি কী হচ্ছে। তবে একই সময়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও কল্যাণের প্রয়োজন আছে। এটা অন্যায় কিছু না। আলাদা করলেও আমার কোনো আপত্তি নেই। আলাদা করলেও নিম্ন আয়ের মানুষ কত পাচ্ছে এটা দেখা যাবে। আমাদের উদ্দেশ্য ব্যয় আরও বাড়ানো। সমাজ সেবাখাতে ব্যয় আরও বাড়ালে নিম্ন আয়ের মানুষ আরও সুবিধা পাবে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী তারাও পাবে।’

সোমবার (২৯ জুন) কেয়ার বাংলাদেশ ও কালের কণ্ঠ আয়োজিত ‘কভিড-১৯ জনিত আর্থসামাজিক ঝুঁকি থেকে উত্তরণ: অর্থায়ন ও নীতিকৌশল’ শিরোনামে অনলাইন সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে পরিকল্পনা মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সভায় কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, নাহিম রাজ্জাক, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারী, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির, সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনসহ অন্যরা।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রমেশ সিং। আর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কেয়ার বাংলাদেশের পরিচালক আমানুর রহমান।

পরিকল্পনা মন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, ‘সামাজিক সুরক্ষা খাতে সরকার বরাদ্দ বাড়িয়েছে। তবে সামাজিক সুরক্ষা খাতে সরকারি কর্মকর্তাদের পেনশন থাকা নিয়ে অনেকে সমালোচনা করছেন। সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ আরও বাড়ানো দরকার আছে। আমাদের হাতে প্রচুর তথ্য আছে। কিন্তু সমন্বয় নেই। সমন্বয়টা জরুরি। ’

তিনি বলেন, ‘ব্যাংক সংস্কারের কথা অনেকে বলছেন। আমিও মনে করি, ব্যাংকে সংস্কার আনা জরুরি। আগে করা দরকার ছিল। ’

এত বছর পেরিয়ে গেলেও কেন ভ্যাট অনলাইনে হলো না, তা নিয়েও নিজের অসন্তোষের কথা জানান মন্ত্রী। রাজস্ব আদায়ের হার বাড়াতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডেও সংস্কার আনার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন তিনি। মোবাইল ফোন সেবার ওপর শুল্ক বসানোর প্রস্তাবে নিজের মতামত দিতে গিয়ে বলেন, ‘আমি মনে করি, বাড়তি শুল্ক বসানো ঠিক হয়নি। যারা সরকার চালান তারা নিশ্চয়ই বিষয়টি বিবেচনা করবেন। ’

বাংলাদেশ সময়: ১০১১ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২০
এসই/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।