ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কিস্তিতে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হলেন রণজিত

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২০
কিস্তিতে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হলেন রণজিত

ঢাকা: রণজিত চন্দ্র রায়। দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ে অফিস সহকারী পদে কর্মরত। ঘরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। এ অবস্থায় স্ত্রীর যাতে সুবিধা হয় তাই কিস্তিতে একটি ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর কিনেছিলেন। আর তাতেই ভাগ্য বদলে গেল রণজিতের। ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-সেভেনের আওতায় ফ্রিজ কিনে তিনি হয়েছেন মিলিয়নিয়ার। ওই টাকায় গ্রামে বাবা-মায়ের জন্য বাড়ি তৈরি করবেন রণজিত।

রোববার (১২ জুলাই) খানসামা বাজারে ওয়ালটন শোরুম ‘সনিট্রন ইলেকট্রনিক্স’-এ আনুষ্ঠানিকভাবে রণজিতের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।  

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আলোকধারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আ স ম আতাউর রহমান বাচ্চু, ইউপি সদস্য আনিসুর রহমান হেলাল, ওয়ালটনের ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর শরফুদ্দীন আহমেদ, রংপুর জোনের এরিয়া ম্যানেজার শাহেদ ইকবাল, শোরুমের স্বত্ত্বাধিকারী আলমগীর জামান প্রমুখ।

অনলাইনে দ্রুত সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-সেভেন। এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন ও মাইক্রোওয়েভ ওভেন কিনে ক্রেতারা পেতে পারেন এক মিলিয়ন বা ১০ লাখ টাকা। রয়েছে লাখপতি হওয়ার সুযোগসহ কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। এ সুযোগ থাকছে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ পর্যন্ত। এর আগে সিজন-সেভেনে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন গাজীপুরের দর্জি ওয়াজেদ আলী, নওগাঁর গামছা বিক্রেতা সোলায়মান হক ও রাঙ্গামাটির মুরগির খামারি চাইথোয়াইঅং মারমা।

রণজিত জানান, তার গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার কাস্তোর গ্রামে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় খানসামা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ে ২০১৬ সাল থেকে চাকরি করেন। থাকেন খানসামার আলোকধারী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে। স্ত্রী অন্তঃস্বত্ত্বা। তার কাজের সুবিধার জন্য গত ৬ জুলাই ‘সনিট্রন ইলেকট্রনিক্স’ থেকে ১৮ হাজার টাকা জমা দিয়ে কিস্তিতে ওয়ালটন ফ্রিজটি কেনেন। এরপর মোবাইল নম্বর দিয়ে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে ওয়ালটন থেকে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার মেসেজ যায় তার মোবাইলে।  

আবেগাপ্লুত রণজিত বলেন, মেসেজ দেখে প্রথমে বিশ্বাস করিনি। পরে শোরুম থেকে ফোন করে জানালে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ি। ওয়ালটনের প্রতি কৃতজ্ঞতা। গ্রামে বাবা-মা ও চার ভাই-বোন থাকে। তাদের জন্য একটা পাকা বাড়ি তৈরির স্বপ্ন ছিল। ওয়ালটন থেকে পাওয়া এ টাকা দিয়ে আমার সেই স্বপ্ন পূরণ হবে।  

জানা গেছে, ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর ও বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এর ফলে ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত কাঙ্ক্ষিত সেবা পাবেন গ্রাহক। সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে মিলিয়নিয়ারসহ নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচারের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।  

ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ জানায়, স্থানীয় বাজারে তাদের রয়েছে দেড় শতাধিক মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট, ডিপ ফ্রিজ ও বেভারেজ কুলার। দাম মাত্র ১০ হাজার ৯৯০ টাকা থেকে ৬৯ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে। রয়েছে চোখ ধাঁধানো আকর্ষণীয় ডিজাইনের গ্লাস ডোর এবং ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির বিএসটিআই’র ‘ফাইভ স্টার’ এনার্জি রেটিংপ্রাপ্ত ডিজিটাল ডিসপ্লে সমৃদ্ধ সাশ্রয়ী মূল্যের ফ্রিজ। নগদ মূল্যের পাশাপাশি বিশ্বমানের ওয়ালটন ফ্রিজ কিস্তিতে কেনার সুযোগ আছে।

আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারী সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত হয়ে ওয়ালটনের প্রতিটি ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হচ্ছে। ওয়ালটন ফ্রিজের রয়েছে বিএসটিআইয়ের ফাইভ স্টার এনার্জি এফিশিয়েন্সি রেটিং। ফ্রিজ উৎপাদন ও রপ্তানিতে ওয়ালটন অর্জন করেছে আইএসও, ওএইচএসএএস, ইএমসি, সিবি, আরওএইচএস, এসএএসও, ইএসএমএ, ইসিএইচএ, জি-মার্ক, ই-মার্ক ইত্যাদি সার্টিফিকেট। আন্তর্জাতিকমানের ওয়ালটন ফ্রিজ রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।

ফ্রিজে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধার পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছে ওয়ালটন। দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে রয়েছে ৭৪টি সার্ভিস সেন্টার।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২০
পিআর/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।