ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মার্কেটে নেই ঈদের বেচাকেনা, ১ সপ্তাহ পর বাড়ার আশা

361 | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫১ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২০
মার্কেটে নেই ঈদের বেচাকেনা, ১ সপ্তাহ পর বাড়ার আশা

ঢাকা: প্রতি বছরই ঈদের প্রায় মাসখানেক আগে হতে ফুটপাতের বাজার থেকে শুরু করে বড় বড় শপিংমলগুলোতে বিক্রিবাট্টার ধুম পড়ে যায়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে এবারের ঈদ বাজারের অবস্থা ভিন্ন। ঈদের আর মাত্র ১৫ দিন বাকি থাকলেও দোকানপাটগুলোতে সেভাবে বিক্রি নেই। নেই ক্রেতার আনাগোনা। তারপরও আর ১ সপ্তাহ পর এ অবস্থা বদলে বিক্রিবাট্টা কিছুটা হলেও বাড়বে বলে প্রত্যাশা করছেন ব্যবসায়ীরা। 

বুধবার (১৫ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বেশ কিছু মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, সীমিত পরিসরে যে কয়টি দোকান খুলেছে, তাতেও নেই বিক্রির আমেজ। বেচাকেনা না থাকায় অনেকটাই হতাশা বিক্রেতারা।

 

রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের পোশাক ব্যবসায়ী শ্রুতি ফ্যাশন হাউজের সত্ত্বাধিকারী তপন সাহা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ঈদ উৎসবে কেনাকাটার একটা বড় অংশ জুড়ে থাকে পোশাক। যদিও পোশাক বেশি বিক্রি হয় রোজার ঈদে। কোরবানিতে তুলনামূলক কম হলেও তা মন্দ নয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর চিত্রটা একেবারেই অন্যরকম। রোজার ঈদে কোনো বিক্রিবাট্টা সম্ভব হয়নি। কোরবানির ঈদ ঘিরেও এখন পর্যন্ত সেভাবে ক্রেতাদের দেখা মিলছে না। সব মিলিয়ে একটা বড় ক্ষতির মুখে পোশাক ব্যবসায়ীরা।  
ঈদের মার্কেট, ছবি: রাজীন চৌধুরী‘কোরবানিতে বিকিকিনি এমনিতেই কম। তার ওপরে করোনা। শপিং মল, দোকানপাটও বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন। ঘর থেকে মানুষের বের হওয়ার ব্যাপারেও আছে কড়াকড়ি। সব মিলিয়ে এখনও মানুষ ঈদের বাজারে সেভাবে আসেনি। তবে সপ্তাহ পেরুলে কিছু বেচাকেনা হবে বলে আমরা সবাই আশা করছি। ’ 

বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের দিশারী ফ্যাশন হাউজের মুরাদ আহমেদ বলেন, অতীতে ঈদের দিন যতো এগিয়ে আসতো ততই নগরীর মার্কেটগুলোতে ভিড় বাড়তো। এ বছর সেই চিত্র দেখা যায়নি। করোনা আতঙ্কে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেকেই। যারা কেনাকাটার জন্য বের হচ্ছেন, তাদের মধ্যেও যথেষ্ট সাবধানতা দেখা যাচ্ছে। কেনাকাটা করলেও বেশি সময় ব্যয় করছেন না তারা।

পরিস্থিতির যদি খুব বেশি উন্নতি না ঘটে, তবে ফ্যাশন হাউস, কাপরের ব্যবসায়ীদের অনলাইন বিপণনের দিকেই ঝুঁকতে হবে বলে মত অনেকের। যদিও মোট বিক্রির তুলনায় অনলাইনে বেচাকেনার পরিমাণ একেবারেই নগণ্য। তারপরও এ পরিস্থিতিতে মন্দের ভালো হতে পারে সেটি।
ঈদের মার্কেট, ছবি: রাজীন চৌধুরীএ বিষয়ে ফ্যাশন হাউস ও কারুপণ্য বিপণন প্রতিষ্ঠান আড়ং কর্তৃপক্ষ জানায়, অনলাইনে বিক্রির পরিমাণ খুবই কম। গত বছর আমাদের মোট বিক্রির ১ শতাংশ ছিল অনলাইনে। এবার পরিস্থিতির কারণে হয়তো সেটা ২ শতাংশে যেতে পারে। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক বেচাকেনার আশাই তো করা যাচ্ছে না।

এদিকে রাজধানীর আজিজ সুপার মার্কেট বা নিউ মার্কেটে কিছু বিক্রিবাট্টা হলেও তা খুবই সীমিত আকারে। তবে ফ্যাশন হাউজগুলোতে ভিড় না থাকলেও, কসমেটিকসের দোকানগুলোতে তুলনামূলক বেশি মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। চুড়ি, মাথার ক্লিপ, মেহেদী ও অন্যান্য প্রসাধনীর জিনিস সংগ্রহ করতে দেখা গেছে অনেককেই।

তারপরও সার্বিক প্রেক্ষাপটে অনেকতাই হতাশ ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, সারা বছর ধরেই ঈদ মৌসুম মাথায় রেখে আমাদের প্রস্তুতি চলে। কিন্তু করোনার কারণে এখন দিন দিন পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। কোরবানির ঈদ ঘিরে কতটুকু বিক্রি হবে তা এখনও বলা যাচ্ছে না। তবে যেটুকুই হোক, তা নিয়েই এবার সন্তুষ্ট থাকতে হবে। পাশাপাশি অনলাইনে বিক্রি বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২০
এইচএমএস/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।