ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেলেন মাছচাষি নাজিম

বিজনেস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২০
ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেলেন মাছচাষি নাজিম

ঢাকা: মাছচাষি নাজিম উদ্দিন। থাকেন চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার আলী নগরে।

একটি ফ্রিজ দরকার ছিলো। আস্থা রাখলেন ওয়ালটনে। গেলেন ওয়ালটনের স্থানীয় শোরুমে। ওই ফ্রিজটি কিনেই তিনি হয়ে গেলেন মিলিয়নিয়ার। ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পান তিনি। সেই টাকায় নাজিম মাছের প্রজেক্ট আরও বড় করার পাশাপাশি একমাত্র ছেলের ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্ন দেখছেন।

মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) সাতকানিয়ার কেরানিরহাট নিউমার্কেটে ওয়ালটন পণ্যের পরিবেশক এশিয়া ইলেকট্রনিক্সে নাজিম উদ্দিনের হাতে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে পাওয়া ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। এসময় সাতকানিয়ার ঢেমশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রিদুয়ান উদ্দীন ও এশিয়া ইলেকট্রনিক্সের সত্ত্বাধিকারী নিজাম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
 
অনলাইনে দ্রুত সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারাদেশে চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-সেভেন। এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন এবং মাইক্রোওয়েভ ওভেন কিনে ক্রেতারা হতে পারেন মিলিয়নিয়ার। রয়েছে লাখপতি হওয়ার সুযোগসহ কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। এ সুযোগ থাকছে ঈদুল আজহা পর্যন্ত।  

এ নিয়ে সিজন-৭ এ ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন ৮ জন ক্রেতা। তারা হলেন- গাজীপুরের দর্জি ওয়াজেদ আলী, নওগাঁর গামছা বিক্রেতা সোলায়মান হক, রাঙ্গামাটির মুরগির খামারি চাইথোয়াইঅং মারমা, দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের অফিস সহকারী রণজিত চন্দ্র রায়, রাজধানীর দক্ষিণ কাফরুলে গৃহিণী সুফিয়া খাতুন, কুমিল্লা লাকসামের ইউনুস মিয়া এবং পাবনার চাটমোহরে সোহেল রানা।

নাজিম উদ্দিন জানান, বাড়িতে আগে বিদেশি ব্র্যান্ডের একটি ফ্রিজ ছিল। কয়েকদিন আগে ওই ফ্রিজটি নষ্ট হয়ে যায়। এদিকে সামনে কোরবানি ঈদ। তাই কেরানির হাট নিউমার্কেটে এশিয়া ইলেকট্রনিক্স থেকে ২৯ হাজার টাকায় ওয়ালটনের নতুন একটি ফ্রিজ কিনেছিলেন। ফ্রিজটি কেনার কিছুক্ষণ পরেই তার মোবাইলে ওয়ালটনের কাছ থেকে একটি মেসেজ যায়। ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন। এটা দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ি।

তিনি বলেন, ওয়ালটন থেকে পাওয়া টাকায় এখন তার স্বপ্নপূরণ করবেন। মা-হারা ছেলের ভবিষ্যতের জন্যও কিছু অর্থ সঞ্চয় করবেন। তিনি ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান।  
ওয়ালটন ফ্রিজ কেনা প্রসঙ্গে নাজিম উদ্দিন জানান, এটি দেশীয় ব্র্যান্ড। গ্রামে যাদের বাড়িতে ফ্রিজ রয়েছে, প্রায় সবারই ওয়ালটন ফ্রিজ। ওয়ালটন ফ্রিজগুলো উচ্চমানের। ফ্রিজের ডিজাইনও খুব সুন্দর। দামেও সাশ্রয়ী।

ওয়ালটন ফ্রিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনিসুর রহমান মল্লিক জানান, ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এর ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে মিলিয়নিয়ারসহ নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচারের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২০
ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।