ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মসলাজাতীয় পণ্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫০ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২০
বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মসলাজাতীয় পণ্য রসুন ও পেঁয়াজ

ঢাকা: কোরবানির ঈদ উপলক্ষে আদা, রসুন, পেঁয়াজের চাহিদা বাড়ায় এ সুযোগ বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগাচ্ছেন রাজধানীর খুচরা বিক্রেতারা। পাইকারি বাজারে এসব পণ্যের দাম কমলেও খুচরায় এর কোনো প্রভাবই লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

উল্টো কেজিপ্রতি পাঁচ থেকে ১০ টাকা বাড়তি দাম নিতে দেখা গেছে কোনো কোনো বাজারে।  

বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, এদিন রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার শ্যামবাজারে (যেখান থেকে খুচরায় সরবরাহ হয়) প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা, এলসি (ভারত থেকে আমদানি) পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৯ থেকে ২১ টাকা। অন্যদিকে দেশি রসুন আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা আর চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকার মধ্যে।

এছাড়া এ বাজারে প্রতিকেজি আকারভেদে চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা, কেরালা (যেটা দেশি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে) বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ১০০ থেকে ১০৫ টাকার মধ্যে।

..

তবে এ বাজার থেকে পণ্য বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দফায় দফায় বেড়ে যায় দাম। কোনো কোনো পণ্যের দাম হয়ে যায় প্রায় দুই গুণ।

অন্যদিকে রাজধানীর শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, খিলগাঁও, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি বাজার, মালিবাগ বাজারসহ বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, এলসি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।  

অন্যদিকে খুচরায় দেশি রসুন আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে। আর চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকার মধ্যে।

এসব বাজারে প্রতিকেজি আকারভেদে চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, কেরালা বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা।

দামের পার্থক্য নিয়ে ক্রেতা, পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের মধ্যে রয়েছে ভিন্নমত। আয়েশা নামে শান্তিনগর বাজারের এক ক্রেতা বলেন, ঘাটতি মোকাবিলায় পণ্য আমদানি করা হচ্ছে। সরকার কঠোর অবস্থানে এরপরও মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে পণ্যের।

এ বিষয়ে শ্যামবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী ও বাণিজ্যলয়ের মালিক মো. জাকির হোসেন বলেন, বাজারে আদা, রসুন কিংবা পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। প্রতিনিয়ত আমদানি পণ্য বাজারে আসছে। তবে আদার বাজার কেজিতে দুই/এক টাকা ওঠানামা করছে বেশ কয়েকদিন।

তিনি বলেন, খুচরায় কিছু অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীর কারণে ইমেজ সংকটে পড়তে হয় বড় ব্যবসায়ীদের। আমাদের এখানে কোনো পণ্যের বাড়তি মূল্য নেই।  

তবে পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ভিন্নমত দেখা গেছে খুচরা বিক্রেতাদের। এ বিষয়ে শান্তিনগর বাজারের ব্যবসায়ী হাসি বলেন, আমরা খুব বেশি পণ্যের দাম রাখি না। প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা হয়। বেশি দাম রাখার সুযোগ নেই। তাছাড়া আমাদের একটু লাভ তো করতেই হবে। পরিবার আছে, দোকান ভাড়া ও কর্মচারীর বেতন দিতে হয়। এছাড়া শ্যামবাজার থেকে পণ্য আনতে পরিবহন ভাড়া বেশি লাগছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২০
ইএআর/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।