ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ঈদের ছুটি শেষে কর্মব্যস্ত ব্যাংক পাড়া

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২০
ঈদের ছুটি শেষে কর্মব্যস্ত ব্যাংক পাড়া ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের উপস্থিতি রয়েছে, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ঈদুল আজহার ছুটি শেষে আবার কর্মব্যস্ত হয়ে উঠেছে রাজধানীর ব্যাংক পাড়া মতিঝিল। লেনদেন ছাড়াও অন্যান্য কাজে ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

এবারের ঈদে তিনদিনের ছুটির দু’দিনই ছিল সাপ্তাহিক ছুটি (শুক্র ও শনিবার)। শুধু রোববারের কর্মদিবসে ব্যাংক বন্ধ ছিল। যে কারণে ব্যাংকগুলোতে তেমন একটা চাপ পড়েনি গ্রাহকের। তবে মাসের প্রথম সপ্তাহ হওয়ার কারণে ব্যাংকগুলোতে পেনশনার ও সঞ্চয়পত্রের উপকারভোগীদের উপস্থিতি দেখা গেছে।
আবার করোনা ভাইরাসের কারণে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক ঢাকার বাইরে যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিও ছিল লক্ষ্যণীয়।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সবচেয়ে বড় ব্যাংক সোনালীর কর্পোরেট শাখায় গিয়ে দেখা গেছে, হাতে গোনা কয়েকজন গ্রাহক টাকা তোলা ও জমা দেওয়ার জন্য লাইনে অপেক্ষা করছেন। আবার অনেক গ্রাহক এসেছেন সঞ্চয়পত্রের সুদের টাকা তোলার জন্য।

সেখানে কথা হয় অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঈদের ছুটির মধ্যে নতুন মাস এসেছে। পেনশনের টাকা তুলতে এসেছি।

সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখার ক্যাশ কর্মকর্তা বলেন, সাধারণ লেনদেনের পাশপাশি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেনশন ও সঞ্চয়পত্রের উপকারভোগীরাই বেশি ব্যাংকে এসেছেন। সব ধরনের লেনদেন চালু থাকলেও ব্যবসায়ীদের টাকা জমা ও তোলার পরিমাণ খুবই কম।

সোনালী ব্যাংকের মতো রূপালী, অগ্রণী ও জনতা ব্যাংকের স্থানীয় শাখায় গিয়ে গ্রাহকদের লম্বা লাইন দেখা যায়নি। একই ভাবে গ্রাহকের উপস্থিতি থাকলেও ভিড় নেই মতিঝিলে অবস্থিত বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে।

জানতে চাইলে রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখার মহাব্যবস্থাপক (জিএম) খান মো. ইকবাল বলেন, সোমবাব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের উপস্থিতি রয়েছে, ছবি: বাংলানিউজর থেকেই আমরা গ্রাহকদের সব ধরনের সেবা দিচ্ছি। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমসহ সব ধরনের কার্যক্রম চালু রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিগত সময়ে ঈদের পরে যেভাবে গ্রাহকদের চাপ বাড়ে,  এবার সেটা নেই। কারণ এবারের ঈদের ছুটির তিনদিনের মধ্যে দু’দিন ছিল শুক্র ও শনিবার, অর্থাৎ সাপ্তাহিক ছুটির দু’দিনে। এর সঙ্গে শুধু রোববার ঈদুল আজহার তৃতীয় দিনের ছুটি যোগ হওয়ায় টানা ছুটির ফাঁদে পড়েননি গ্রাহকরা। ফলে তেমন সমস্যা হয়নি।

বেসরকারি ব্যাংকের এমডিদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও ইস্টার্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী রেজা ইফতেখার বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষ অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। এতে ব্যবসা বাণিজ্য কমে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে ব্যাংকগুলোতেও। ছোট ছোট আমানতকারীরা টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। জমা হচ্ছে কম।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২০
এসই/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।