ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রতি তিন মাস পর সমন্বয় বৈঠক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২০
অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রতি তিন মাস পর সমন্বয় বৈঠক

ঢাকা: এখন থেকে নিয়মিত প্রতি তিনমাস পরপর অর্থমন্ত্রণালয়ের সমন্বয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ; অর্থ মন্ত্রনালয়ের এই চার বিভাগের সচিবগণের সঙ্গে বৈঠকে তিনি একথা জানান।

মঙ্গলবার(১১ আগস্ট) মন্ত্রী নিজ বাস ভবন থেকে একটি ভার্চুয়াল সমন্বয় বৈঠক করেন। বৈঠকের শুরুতে  অর্থমন্ত্রী করোনা মহামারির মধ্যেও ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ অর্জিত হওয়ায় এবং মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৬৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে তিনি দেশবাসী ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, এ চারটি বিভাগ আমরা একটি টিম হিসাবে কাজ করছি। দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির গতিধারা অক্ষুন্ন রাখার জন্য আমাদের নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে। ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেট সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক সম্পদ মবিলিাইজেশন এবং দক্ষ ব্যয় ব্যবস্থাপনার প্রতি আমাদের যত্নশীল হতে হবে। আমাদের কাজের অগ্রগতি মূল্যায়ন ও সকল প্রকার জটিলতা নির্ধারণে আমরা প্রতি তিনমাস পরপর একটি সমন্বয় বৈঠক করে থাকি। কোভিড-১৯ এর কারণে গত কয়েকমাস আমরা বৈঠক করতে পারিনি। এখন থেকে নিয়মিত প্রতি তিনমাস পরপর এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি আরও বলেন, এখন থেকে একেক সময়ে একেক বিভাগের দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। কাজ করার গতি যাতে ঠিক থাকে তাই মাঝে মাঝে আমরা আমাদের পারফর্ম্যান্স রিভিউ করবো এবং কিভাবে আমাদের মন্ত্রণালয়কে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি সে বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করবো। কর্মক্ষেত্রে যদি কোন জটিলতা তৈরী হয় আলোচনার মাধ্যমে সেগুলো সমাধান করা হবে।

বৈঠকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম,  সিনিয়র সচিব, অর্থসচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন অংশগ্রহণ করেন। সচিবগণ আলোচনায় অংশগ্রহণ করে চার বিভাগের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।

অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব জানান, অর্থবছরের প্রথম মাস অর্থাৎ জুলাই মাসের রাজস্ব আদায়ের হিসাব এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। তবে তুলনামূলকভাবে রাজস্ব আদায় কম হয়েছে। কিন্তু এখন যেহেতু আমদানী রফতানী বাড়ছে তাই রাজস্বও রাড়তে শুরু করেছে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব বিভিন্ন আইন ও বিধিমালা সংশোধিত আকারে প্রণয়ণের অগ্রগতি অবহিত করেন। অর্থসচিব বাজেট ঘাটতি ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার নিমিত্তে জাতীয় রাজস্ববোর্ডের সহযোগিতা কামনা করেন।

আলোচনায় পরবর্তী বাজেট কি রকম হবে, কোন কোন খাতগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হবে সে বিষয়ে এখন থেকে কাজ শুরু করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। সমন্বয় সভার আলোচনার মাধ্যমে তা আপডেট করার ইঙ্গিতও প্রদান করেন অর্থমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ০৫২৩ ঘণ্টা, আগষ্ট ১২, ২০২০
এমআইএস/এইচএমএস/কেএআর/ইউবি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।