ঢাকা, রবিবার, ১২ আশ্বিন ১৪৩২, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৭

অর্থনীতি-ব্যবসা

রাজধানীতে কিছুটা কমেছে সবজির দাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০:২৫, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২০
রাজধানীতে কিছুটা কমেছে সবজির দাম সবজি বাজার, ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা নিম্নমুখী ভাব দেখা গেছে রাজধানীর সবজি বাজারে। কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে অধিকাংশ সবজির।

তবে দাম কমার এ হার পর্যাপ্ত নয় বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।  

তাদের অভিযোগ, বাজারে পর্যাপ্ত সবজির সরবরাহ থাকলেও সে তুলনায় দাম কমেনি মোটেও। তবে অপরিবর্তিত আছে আলু, চাল, ডাল, তেল ও মসলার বাজার।

শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রামপুরা, মগবাজার, মালিবাগ, মালিবাগ রেলগেট বাজার, শান্তিনগর, ফকিরাপুল, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি কলোনি বাজার ও খিলগাঁও কাঁচা বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

এসব বাজারে কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা কমে আকারভেদে প্রতিকেজি শসা (দেশি) বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাজর (আমদানি) ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, উস্তা ৯০ টাকা, মানভেদে ঝিঙা-ধুন্দল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাকরোল আকারভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, বেগুন আকারভেদে ৬০ থেকে ৯০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা।

কেজিতে ৩০ টাকা কমে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু, পেঁপে, কচুর মুখি ও কাঁচা কলা। এসব বাজারে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা, পেঁপে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, কচুর মুখি ৬০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতিহালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায় ।

আটিপ্রতি (মোড়া) পাঁচ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে শাকের। এসব বাজারে প্রতি আঁটি (মোড়া) লাল শাক বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, মুলা ও কলমি শাক ১৫ টাকা, লাউ ও কুমড়া শাক ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, পুঁই শাক ২৫ থেকে ৩০ টাকা ও ডাটা শাক ২০ থেকে ২৫ টাকা।

আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল, ডাল ও ভোজ্য তেল। এসব বাজারে প্রতিকেজি মিনিকেট চাল (নতুন) বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা, মিনিকেট পুরান ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা, বাসমতি চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, আতপ চাল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা ও পোলাওর চাল বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজিদরে।

এছাড়া প্রতিকেজি গুটি চাল বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, পায়জাম চাল ৪৫ টাকা, আটাশ চাল ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা, এক সিদ্দ চাল ৪২ থেকে ৪৪ টাকা।

এসব বাজারে প্রতিকেজি ডাবলি ডাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, অ্যাংকর ৫২ টাকা ও দেশি মসুর ডাল ৮০ থেকে ১২০ টাকা। বাজারে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায়।

এদিকে সবজির দাম কিছুটা কমলেও তা পর্যাপ্ত নয় এমন অভিযোগ ক্রেতাদের। আর বিক্রেতা বলছেন, কাঁচামাল আমদানির ওপর নির্ভর করে। বাজারে সরবরাহ কিছুটা বেশি থাকায় আজ দাম কমেছে। সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমবে।

তাসমিম নামে মগবাজার এলাকার এক ক্রেতা বলেন, বাজারে কোনো পণ্যের অভাব নেই অথচ সে তুলনায় দাম কমছে না। সরবরাহের সঙ্গে দাম আরও কমা উচিত।

তাসমিমের সঙ্গে একমত নন মিন্টু নামে মালিবাগ বাজারের এক বিক্রেতা। তিনি বলেন, কাঁচামালের দাম সবসময় উঠা-নামার মধ্যে থাকে। সরবরাহ (আমদানি) বাড়লে দাম কমে, সরবরাহ কমলে দাম বেড়ে যায়। আজ বাজারে তুলনামূলক আমদানি বেশি ছিল তাই দাম কিছুটা কমেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২০
ইএআর/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি-ব্যবসা এর সর্বশেষ