ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কৃষি জমিতে নয়, শিল্পকারখানা হবে ইকোনোমিক জোনে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
কৃষি জমিতে নয়, শিল্পকারখানা হবে ইকোনোমিক জোনে ফাইল ছবি

ঢাকা: সরকারি ও বেসরকারি খাতে দেশে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। কৃষি জমি ও বসতবাড়ি রক্ষার্থে কৃষি জমিতে নয়, অর্থনৈতিক অঞ্চল বা ইকোনোমিক জোনে শিল্পকারখানা নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৪ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গণভবন থেকে সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে প্রকল্পের সার্বিক বিষয় সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

মৌজা ও প্লটভিত্তিক জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিং প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। দেশের সব ভূমিকে জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিং করা হচ্ছে। ভূমির গুণাগুণ অনুযায়ী ভূমিকে প্লটওয়ারি কৃষি, আবাসন, বনায়ন, জলমহাল, বাণিজ্যিক ও শিল্প উন্নয়ন, পর্যটন ইত্যাদি শ্রেণিতে বিভক্ত করে গ্রামাঞ্চলের জন্য মৌজা ও প্লটভিত্তিক ডিজিটাল ভূমি জোনিং ম্যাপ প্রণয়ন করা হবে।

মাঠ পর্যায়ে ভূমি ব্যবস্থাপনার ওপর সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুবিধার্থে কেন্দ্রীয়ভাবে কম্পিউটারাইজড ভূমি তথ্য সংরক্ষণ পদ্ধতি স্থাপন করা এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য। প্রকল্পটির চূড়ান্ত অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, গ্রাম অঞ্চলে অধিকাংশ স্থানে মারামারি ও ঝগড়ার মূল কারণ জমি। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জমির সকল কাগজ ডিজিটাল হয়ে যাবে। জমির নম্বর দেখে বলা যাবে জমিটা বসতভিটা না কৃষি। আমাদের কৃষি জমি কমে যাচ্ছে। তাই প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন যেখানে সেখানে শিল্পকারখানা নির্মাণ করা যাবে না। আমরা ইকোনোমিক জোন করে দিচ্ছি। ইকোনোমিক জোনেই শিল্পকারখানা নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এসব স্থানে শিল্পকারখানা নির্মাণের জন্য সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।

আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন উন্নয়ন ও নৌরুট সচল রাখতে চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ নৌরুটে ৯০০ কিলোমিটার ড্রেজিং করা হবে। পাশাপাশি টার্মিনালসহ আনুষঙ্গিক উন্নয়ন করবে সরকার। প্রকল্পের আওতায় চারটি প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণ ও উন্নয়ন করা হবে। পানগাঁও ও আশুগঞ্জ টার্মিনাল উন্নয়ন করা হবে।

একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে পরিকল্পনা মন্ত্রী আরও বলেন, বিমান, বাস, ট্রেন ও লঞ্চসহ সব টার্মিনালে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আরো উন্নত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি ছোট ছোট খাল উদ্ধার করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইভাবে খালের পাড় বেঁধে দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
এমআইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।