ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বন্যায় রাজশাহীতে বাড়ছে সবজির দাম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০২০
বন্যায় রাজশাহীতে বাড়ছে সবজির দাম

রাজশাহী: চলমান বন্যা পরিস্থিতির কারণে রাজশাহীর বাজারে বাড়ছে সবজির দাম। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে সবজিভেদে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে।

এদিকে বিক্রেতারা বলছেন, রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকা বন্যা কবলিত হওয়ায় কৃষকরা বাজারে সবজি আনতে পারছেন না। এ কারণে সবজির দাম বেড়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক। এ জন্য পাইকারি বাজার থেকে তাদের বেশি দামে সবজি কিনতে হচ্ছে। তাই এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও।  

তবে বিক্রেতাদের এসব বক্তব্য মানতে নারাজ ক্রেতারা। ক্রেতাদের দাবি, বন্যা পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। এ পরিস্থিতিতে যতটা দাম বাড়ার কথা তার চেয়ে বেশি দামে সবজি বিক্রি করছেন তারা।

রোববার (৪ অক্টোবর) রাজশাহীর বেশকয়েকটি বাজারে সব সবজিরই দাম ছিল চড়া। তবে মাছ ও মাংসের দাম আগের মতোই স্থিতিশীল। এসব বাজারে কয়েকদিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা। করলা ও টমেটোর দাম বেড়েছে প্রতিকেজিতে ২০ টাকা। গত তিন দিন আগেও টমেটো ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ৭০ টাকা। তেমনি করলার দাম বেড়ে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। শসা কয়েকদিন আগে ৪০ টাকা কেজিতে পাওয়া গেলেও দাম বেড়ে তা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। আর প্রতিকেজি মুলা ৪০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, ঝিঙা ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা।

এসব বাজারে চলতি সপ্তাহে কমেছে কাচাঁমরিচের দাম। গত সপ্তাহে কাচাঁমরিচের কেজি ছিল ২০০ টাকা। তবে ৪০ টাকা দাম কমে প্রতিকেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা।

সবজির মতোই রাজশাহীতে বাড়তি দাম চালের। গত এক মাস ধরেই চালের দাম বাড়তি। আঠাশ চাল প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, মিনিকেট ৫৩ টাকা, বাসমতি ৬০ টাকা, জিরাশাইল ৫২ টাকা।

এদিকে রাজশাহীর বাজারে কমেনি পেঁয়াজের দাম। গত মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বাজারে দেশি পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ৯০ টাকায়। আর ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারি প্রতিকেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে, খুচরা বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতিকেজিতে ৮৫ টাকা থেকে ৯০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৯৫ টাকা থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে আদা ও রসুন। প্রতিকেজিতে ২০ টাকা বেড়ে আদা ও রসুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা আর দেশি আদা প্রতিকেজি ১৬০ টাকা কেজি।

সাহেব বাজারের সবজি বিক্রেতা সাহাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, গত কয়েকদিনে রাজশাহীর বন্যা পরিস্থিতির অনেক অবনতি হয়েছে। রাজশাহীর অনেক ফসলি জমি ডুবে গেছে। আর এ জন্যই গত কয়েকদিন ধরে সবজির দাম বেড়েছে। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে দাম কমতে দেরি হবে।

বাড়তি দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ক্রেতারা। সাহেব বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. সুজন আলী বলেন, প্রতি সপ্তাহে বাজারে পণ্যের দাম বাড়ে। ক্রমাগতভাবে দেশে বিভিন্ন দ্রব্যের দাম সাধারণ মানুষের হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। বাজারে মনিটরিং নেই। কেন দাম বাড়ে, তা দেখার যেন কেউ নেই।

অপর ক্রেতা জয়নব বেগম বলেন, আমি সবসময়ই বাজার করি। গত এক মাস ধরেই সব সবজির দাম অনেক বেশি। মাছ ও মাংসের দাম ঠিক থাকলেও সবজি কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২০
এসএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।