ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাজারে শীতের সবজি, দাম চড়া

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২০
বাজারে শীতের সবজি, দাম চড়া

ঢাকা: বাজারে এসেছে শীতের সবজি। তবে উল্টো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের শাক ও সবজি।

অপরিবর্তিতত আছে চাল, ডাল, তেল, মুরগি ও মাংসের বাজার। এদিকে, নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশের দেখা মিললেও তা তুলনামূলক কম। তবে ইলিশের দাম বেশি থাকায় চাহিদা বেড়েছে অন্যান্য মাছের।

ক্রেতারা বলছেন, বাজারে বছরের সব সময়ই সবজির সরবরাহ থাকে। তবে সে তুলনায় দাম কমে না। এর মধ্যে শীতের সবজি বাজারে এলেও চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে শীতের সবজি এলেও তা পর্যাপ্ত না। সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে।

শুক্রবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, ফকিরাপুল, টিঅ্যান্ডটি বাজার, কমলাপুর, বাসাবো, খিলগাঁও, মালিবাগ ও রামপুরা বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

এসব বাজারে প্রতিকেজি চিচিঙ্গা-ধন্দুল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে, পটল ও ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, করলা ৫০ থেকে ৭০ টাকা, উস্তা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, কচুর ছড়া ৫০ টাকা, কচুর লতি ৫০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, টমেটো ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, প্রতিকেজি ধনিয়া পাতা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিপিস বাঁধা কপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, প্রতিহালি কাঁচা কলা ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৬০ থেকে ৭০, জালি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বড় কচু ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।

তবে কিছুটা দাম কমেছে শসা, কাঁচা মরিচ ও ফুল কপির। বর্তমানে প্রতিকেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৩০ থেকে ১৭০ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকা। গত সপ্তাহে প্রতিকেজি শসা বিক্রি হয়েছিলো ৫০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ৩৫ থেকে ৪৫ টাকায়।

আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে শাক। বাজারে প্রতি আঁটি (মোড়া) লাল শাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়, পালং শাক ২০ থেকে ৩০ টাকা, ডাটা শাক ২০ থেকে ২৫ টাকা, মুলা ১২ থেকে ১৫ টাকা, লাউ ও কুমড়া শাক ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়।

অপরিবর্তিত রয়েছে চাল, ডাল, তেল, মুরগি ও মাংসের বাজার। এসব বাজারে বর্তমানে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৯৮ থেকে ১০০ টাকায়। প্রতিকেজি ডাবলি ও অ্যাংকর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১২০ টাকা, চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৫ টাকা কেজিদরে।

আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চাল। বাজারে খুচরায় প্রতিকেজি আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৩ টাকা, পায়জাম ৫০ টাকা, মিনিকেট ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, জিরা মিনিকেট ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা, নাজির ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। তবে কেজিতে ৫ টাকা কমে পোলাও চাল (খোলা) বিক্রি হচ্ছে ৯০ কেজিতে।

প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা, বকরির মাংস ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরু মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা, মহিশ ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি। বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়, সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা কেজিদরে।

দেশি পেঁয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে, মিশর পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, চায়না পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজিদরে। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি, চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজিদরে। কেরালার আদা ১২০ টাকা, চায়না আদা ২৪০ থেকে ২৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০২০
ইএআর/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।