ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য বাড়াতে জি টু জি বৈঠক জানুয়ারিতে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০২০
ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য বাড়াতে জি টু জি বৈঠক জানুয়ারিতে

ঢাকা: ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য বাড়াতে আগামী জানুয়ারি মাসেই উভয় দেশের মধ্যে (জি টু জি) বাণিজ্য বৈঠকের আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।  

তিনি বলেন, বাংলাদেশে সঙ্গে ব্রিটেনের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের।

বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানি বাজার ব্রিটেন। উভয় দেশের বাণিজ্য বাড়ানোর প্রচুর সুযোগ রয়েছে।  

‘ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আলাদা হওয়ার পর নতুন বাণিজ্যনীতিতে বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেবে বলে আশা করছি। ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য ও বিনিয়োগে ব্রিটেনের আগ্রহে বাংলাদেশ উৎসাহবোধ করছে। নতুন উদ্যমে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সঠিক পথে পরিচালনার জন্য উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা জরুরি। এজন্য জানুয়ারি মাসেই উভয় দেশের মধ্যে বৈঠকের আয়োজন করা হবে। ’

বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর)  সরকারি বাসভবনের অফিসকক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত রবার্ট ডিকসনের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি একথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্রিটেনের অনেক বিনিয়োগ বাংলাদেশে রয়েছে। আরও বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাংলাদেশ স্বাগত জানাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। চীন, জাপান, কোরিয়া, ভারতসহ বেশ কিছু দেশ সেখানে বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছে। ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীরা এখানে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক সুযোগ-সুবিধার ঘোষণা দিয়েছে। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ-ব্রিটেন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করবে।

তিনি বলেন, আগামী ২০২৪ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে।  ব্রিটেন এসময় বাংলাদেশকে বাণিজ্য ক্ষেত্রে চলমান সুযোগ-সুবিধাগুলো অব্যাহত রাখবে বলে আশা করছি। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করে বাণিজ্য সুবিধা সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশ প্রচেষ্টা শুরু করেছে।  

‘বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ব্রিটেন সহযোগিতা করছে সেজন্য আমরা কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ব্রিটেনে পড়ালেখা করেন। অনেকেই উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য ব্রিটেনে যান। অনেকেই ইচ্ছা থাকার পরও আর্থিক কারণে সেখানে যেতে পারেন না।  
 
ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে গুরুত্ব দিচ্ছে ব্রিটেন। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৈঠক করে এ বিষয়ে বিস্তারিত কার্যক্রম গ্রহণ সম্ভব। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ব্রিটিশ সরকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী।

বাংলাদেশের রপ্তানির একটি বড় বাজার ব্রিটেন। ব্রিটেনে গত অর্থবছরে বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ৩৪৫৩ দশমিক ৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে আমদানি করেছে ৪১০ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। উভয় দেশের মধ্যে এ বাণিজ্য আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩,২০২০
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।