ঢাকা: নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ। অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশে মাছ চাষ অনেক জনপ্রিয়।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নে জুবায়ের নামে এক ব্যবসায়ী তার বাবা হারুন মিয়াজীকে সঙ্গে নিয়ে গড়ে তুলেছেন হাঁসের খামার। ওই খামারে গিয়ে দেখা যায়, ক্যাম্বেল, ইন্ডিয়ান রানার, বেইজিং, চিনা হাঁসের পাশাপাশি মাছও চাষ করা হচ্ছে।
সমন্বিত এ উদ্যোগের কারণ জানতে চাইলে জুবায়ের বাংলানিউজকে বলেন, হাঁস পালন করতে হলে পানি বা জলাশয়ের দরকার। এজন্য হাঁস পালনের পাশাপাশি মাছের সমন্বিত চাষ করছি। সমন্বিতভাবে হাঁস ও মাছ চাষ করলে দ্রুত সময়ে অনেক বেশি লাভ করা হয়।
তিনি বলেন, যৌথ খামার হলে মাছের জন্য আলাদা খাবার দিতে হয় না। এছাড়া আরও লাভ করা যায় যদি হাঁস ছেড়ে পালা যায়। তবে সময় সময় হাঁস ছেড়ে পালা সম্ভব হয় না। এজন্য কেনা খাবার খাওয়াতে হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন ভিটামিন ওষুধ খাওয়াতে হয়। যদি হাঁসকে মাল্টিভিটামিন না দেওয়া হয় তবে ডিম বড় হয় না। আর ডিম বড় না হলে ক্রেতারাও কিনতে চায় না। তাই দাম একটু বেশি হলেও মাল্টিভিটামিন কিনে হাঁসকে খাওয়াতে হয়।
মৎস্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের মতে, উন্নত জাতের একটি হাঁস বছরে ২৫০- ৩০০টি ডিম দেয়। পুকুরে হাঁস ও মাছের সমন্বিত চাষ করলে খুব সহজে বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব। ঢাকার আশপাশের এলাকাগুলোতে অনেক সমন্বিত খামার রয়েছে। এজন্য দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে হাঁসের সঙ্গে মাছ চাষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২১
এনটি