ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

পাকিস্তানের কথা আর মুখেও আনবেন না: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২১
পাকিস্তানের কথা আর মুখেও আনবেন না: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাতীয় বস্ত্র দিবস ২০২১ উদযাপন ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বাংলাদেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীন হয়েছে বলে আমরা বুঝতে পারছি পাকিস্তান কোথায় আর বাংলাদেশ কোথায়।

এজন্য পাকিস্তানের কথা আর মুখেও আনবেন না বলে শিল্প উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাস দস্তগীর গাজী।  

শনিবার (০৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় বস্ত্র দিবস ২০২১ উদযাপন ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।  

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার মাসে আমরা একটা দিবস পেয়েছি এটা অনেক গর্বের বিষয়। অনেকেই প্রশ্ন করেন, স্বাধীনতা পেয়ে কি পেলেন? আজকে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পাকিস্তান কোথায় আর বাংলাদেশ কোথায়। পাকিস্তান আমাদের ধারের কাছে নেই। তারা শেষ, একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র। আর আমাদের রাষ্ট্র উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আজকে রাষ্ট্র স্বাধীন হয়েছে বলে বুঝতে পেরেছি পাকিস্তান কোথায় আর বাংলাদেশ কোথায়। পাকিস্তানের কথা আর মুখেও আনবেন না। আজকে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করতে পেরেছেন বলে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে পারছি।

তিনি বলেন, এই বস্ত্র ক্ষেত্র কোথায় ছিল? আমরা ছোটখাটো দোকান করতাম। আমার বাবা প্রায় চট্টগ্রাম যেতেন করাচি থেকে আসা জাহাজের পণ্য কিনতে। আমাদের দেশে কোনো ধরনের কাপড় তৈরি হতো না। সব কিছু সেই পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আসতো। তখন বাংলাদেশ থেকে এক ডলারও এক্সপোর্ট হতো না। স্বাধীন হয়েছে বলে এই শিল্প এগিয়েছে। আপনাদের ধন্যবাদ জানাই যারা বস্ত্র শিল্পকে এগিয়ে নিয়েছেন।  

বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, আজকে পোশাক শিল্প হয়েছে বলে অন্যান্য শিল্প চালু হয়েছে। আমাদের দেশে প্রথম দিকে তাঁত ছিল, ট্রেক্সটাইল মিল ছিল না। বস্ত্রখাত আগে বাড়ছে আস্তে আস্তে টেক্সটাইল মিলগুলোও গড়ে ওঠছে। একসময় আমরা সূতা আমদানি করতাম। এখন সূতাও তৈরি হচ্ছে আমাদের দেশে। আস্তে আস্তে সব শিল্প আমাদের দেশে গড়ে ওঠছে। সুতারং বস্ত্রখাত আগে বাড়লে কতগুলো খাত বাড়ে। যখন একটা কারাখানা গড়ে ওঠে তখন হাজার শ্রমিক কাজের সুযোগ পায়।  

অনুষ্ঠান শেষে পুরস্কার পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের হাতে ক্রেস্ট ও সম্মাননা তুলে দেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিষেশ অতিথি ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মির্জা আজম।  

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বিটিএমইএ সভাপতি আলী খোকন, বিকেএমইএ হাতেম আলী, বিজিবিএ সভাপতি ইফতেখার হোসাইন, বিএসটিএমপিআইএ সভাপতি আজিজুল হক প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশ সময়: ২৪৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২১
জিসিজি/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।