ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্রবাসী আয়ে নগদ সহায়তা আরো ১ শতাংশ বাড়ানোর পরামর্শ আতিউরের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
প্রবাসী আয়ে নগদ সহায়তা আরো ১ শতাংশ বাড়ানোর পরামর্শ আতিউরের ড. আতিউর রহমান

ঢাকা: রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে নগদ প্রণোদনা আরো ১ শতাংশ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান।

বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে ‌‘বণিক বার্তার দ্বিতীয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলন-২০২১’ পাঁচ দশকের উন্নয়ন অভিযাত্রায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর বলেন, আমাদের হঠাৎ আমদানি বেড়ে গেছে, প্রচুর পরিমাণ কাঁচামাল আমদানি করা হচ্ছে। এর বিপরীতে রপ্তানির পরিমাণ কমেছে। তবে, এটা সাময়িক সমস্যা। এটা সমন্বয় করতে প্রবাসী আয়ে আরো ১ শতাংশ নগদ সহায়তা দেওয়া যেতে পারে।

তিনি বলেন, আমাদের প্রবাসী বন্ড কেনায় এক কোটি টাকার যে লিমিট আছে সেটাকে উঠিয়ে বাড়ানো যেতে পারে। বিনিয়োগ বাড়াতে প্রয়োজনে এর সুদহার ১০ শতাংশের স্থানে ৮ শতাংশ করা যেতে পারে। তারপরও এক কোটি টাকার সিলিংকে বর্ধিত করা যায়।

গভর্নর বলেন, আমাদের দেশ ও দেশের অর্থনীতি বাড়ছে। আগামীতে ট্রিলিয়ন ডলারের দেশ হবে বাংলাদেশ। আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। বঙ্গবন্ধু অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তাকে যদি না হারাতাম তাহলে আজকের অবস্থায় অনেক আগেই যেতে পারতাম। তবুও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, সামনের দিকে আরও এগিয়ে যাবে।

বাংলাদেশের ব্যাংকিং ও আর্থিকখাতের অর্জনগুলো তুলে ধরেন সাবেক এই গভর্নর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক গত ৫০ বছর ধরে আর্থিক খাতকে সামনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন সংস্কারের মাধ্যমে। উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ ব্যাংক অগ্রণী ভূমিকায় কাজ করছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রিজার্ভ বৃদ্ধির চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।  

তিনি বলেন, দেশের আর্থিক সেবাখাতে একটি নীরব বিপ্লব ঘটে গেছে। করোনাকালে ডিজিটাল সেবা সবকে যেমন নিরাপদ রেখেছে তেমনি অর্থনীতিকে সচল রেখেছে।  করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশকে দুই অংকের প্রবৃদ্ধির স্বপ্ন দেখাতে পারছে।  বাংলাদেশ ব্যাংকে এক্সচেঞ্জ রেট সামলাতে উদ্যোগী হওয়া উচিত।  

আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, পাঁচ দশকের অর্থনীতির উন্নয়ন-প্রসারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের বড় ভূমিকা রয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ বহুদূর এগিয়েছে। দেশের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক পুনর্গঠন ছিল টার্নিংপয়েন্ট। আর অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে নেতৃত্ব দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক৷ তবে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনেক প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা রয়েছে।  

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার। অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। দি সিটি ব্যাংক লিমিটেডের এমডি ও সিইও মাসরুর আরেফিনের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যামে এ সম্মেলন শুরু হয়। সঞ্চালনা করছেন বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
জিসিজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।