ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

মোংলা বন্দরে ১৩২ গাড়ি নিলামে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২২
মোংলা বন্দরে ১৩২ গাড়ি নিলামে ফাইল ছবি

বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের জেটিতে থাকা আমদানিকৃত ১৩২ গাড়ির নিলাম প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত নিলামে অংশ নেওয়ার জন্য জমা দেওয়া যাবে দরপত্র।

 টেন্ডার বক্স ওপেন করা হবে ১৮ জানুয়ারি।  

এর আগে গত ০৫ জানুয়ারি নিলামের জন্য দরপত্র আহ্বান করে মোংলা কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে কাস্টমস বিভাগের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আবু বাসার সিদ্দিকী বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মোংলা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন বন্দরে পরে থাকার কারণে ১৩২টি গাড়ি, মোল্ডিং যন্ত্র, কন্টেইনারসহ বেশকিছু পণ্যের নিলাম আহ্বান করা হয়েছে। নিলামযোগ্য গাড়ির মধ্যে লাইটএইস, প্রোবক্স, হাইয়েস, ডামট্রাকসহ বেশ কয়েক ধরনের গাড়ি রয়েছে। এসব গাড়ি অনেকদিন বন্দর জেটিতে ছিল। নিলামে অংশ নিতে আগ্রহী ব্যক্তিকে অফেরতযোগ্য ২০০ টাকার বিনিময়ে দরপত্র ক্রয় করতে হবে। আগামী ১৬ জানুয়ারি দুপুর ১টা পর্যন্ত মোংলা কাস্টম হাউস, খুলনা কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা দক্ষিণ কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে রক্ষিত দরপত্র বক্সে দরদাতা মূল্যের ১০ শতাংশ জামানতসহ দরপত্র দাখিল করতে পারবেন।

মোংলা কাস্টমসের বিভাগের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আবু বাসার সিদ্দিকী বলেন, নিলামযোগ্য গাড়িসহ যেসব পণ্য রয়েছে, তার নিলাম প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য আমরা পত্রিকার মাধ্যমে দরপত্র আহ্বান করেছি। ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত খুলনা, ঢাকা ও চট্টগ্রাম কাস্টমস কার্যালয়ে দরপত্র জমা দেওয়া যাবে। সব দপ্তর থেকে দরপত্রের বক্স আসার পরে ১৮ জানুয়ারি সেটি খোলা হবে। পরবর্তীকালে সম্পন্ন করা হবে নিলামের সব প্রক্রিয়া।

নিলাম প্রক্রিয়া সম্পর্কে মো. আবু বাসার সিদ্দিকী বলেন, আমদানিকৃত কোনো পণ্য বন্দরে আসার পরে কাস্টমসে বিল অব এন্ট্রি জমা দিতে হয়। কাস্টমস আইন অনুযায়ী বিল অব এন্ট্রি জমা দেওয়ার এক মাসের মধ্যে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পণ্য খালাস করতে হয়। এই সময়ে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন না করলে, আমদানিকারককে পণ্য খালাসের জন্য চিঠি পাঠাই। চিঠি দেওয়ার পরে ওই প্রতিষ্ঠান বা আমদানিকারকের যদি সাড়া না পাওয়া যায়, তাহলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আমদানিকৃত মালামালের তালিকা ও মূল্য নির্ধারণ করা হয়। মূল্য নির্ধারণের পর পত্রিকার মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে নিলাম দরপত্র আহ্বান করা হয়। নিলামে অংশ নেওয়াদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ করদাতা নির্বাচন করা হয়। করদাতাদের তালিকা যাচাই-বাছাই শেষে, তার আবেদন আইন শাখায় পাঠানো হয়। শাখাটি থেকে ছাড়পত্র পেলে দরদাতার অনুকূলে বিক্রয় আদেশ দেওয়া হয়। সেই আদেশের ভিত্তিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ মূল্য পরিশোধ করে দরদাতা গাড়িসহ নিলামক্রয় করা পণ্য নিতে পারবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।