ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ব্যাংক মালিক হওয়ার স্বপ্নপূরণ হলো না সাকিবের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২২
ব্যাংক মালিক হওয়ার স্বপ্নপূরণ হলো না সাকিবের সাকিব আল হাসান/ছবি: শোয়েব মিথুন

ঢাকা: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরও অনুমোদন পেল না যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আবুল কাশেমের পিপলস ব্যাংক। লেটার অব ইনটেন্টের (এলওআই) মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন নাকচ করায় আর কার্যক্রম শুরু করতে পারবে না ব্যাংকটি।

 

তবে ভবিষ্যতে ব্যাংকটির উদ্যোক্তারা একই নামে অথবা নতুন নামে ব্যাংকের লাইসেন্স পাওয়ার আবেদন করতে পারবে।

বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও তার মা শিরিন আকতার এই ব্যাংকের শেয়ার কিনে মালিক হতে চেয়েছিলেন। সাকিব ব্যাংকটির মালিকানায় আসার জন্য ২৫ কোটি টাকারও বেশি মূলধন জোগান দিতে চেয়েছিলেন।  

বৃহস্প‌তিবার (২০ জানুয়া‌রি) বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভায় পিপলস ব্যাংকের লেটার অব ইনটেন্টের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন নাকচ হ‌য়েছে।  

২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তিনটি নতুন ব্যাংককে (পিপলস ব্যাংক, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক এবং সিটিজেন ব্যাংক) লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) প্রদান করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে বেঙ্গল ও সিটিজেন ব্যাংক ইতোমধ্যে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। কিন্তু পিপলস ব্যাংক পরিশোধিত মূলধনসহ নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করতে বারবার ব্যর্থ হয়েছে এবং আরও সময় চেয়ে আবেদন করে আসছে।

সবশেষ ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পিপলস ব্যাংকের লেটার অব ইনটেন্টের (এলওআই) মেয়াদ শেষ হয়। তার আগেই এলওআইর মেয়াদ আবেদন করেছিল পিপলস ব্যাংকের উদ্যোক্তারা। একই সঙ্গে ব্যাংকটির কার্যক্রম শুরুর শেষ চেষ্টা হিসেবে মালিকানায় যুক্ত করতে চেয়েছে অলরাউন্টার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে। তারপরও কার্যক্রম শুরুর দিকে আগাতে পারল না পিপলস ব্যাংক।  

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, প্রস্তা‌বিত পিপলস ব্যাংকের এলওআইর মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২১ সা‌লের ৩১ ডি‌সেম্বর। নির্ধা‌রিত সম‌য়ের মধ্যে তারা শর্ত পূরণ কর‌তে ব্যর্থ হওয়ায় আর তাদের এলআইর মেয়াদ বাড়া‌নোর আবেদন বা‌তিল করা হ‌য়ে‌ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরও বলেন, লেটার অব ইনটেন্টের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভায় নাকচ হওয়ার ফলে পিপলস ব্যাংকের কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘটল। এখন তারা চাইলে একই নামে অথবা নতুন নামে ব্যাংকের লাইসেন্স পাওয়ার আবেদন করতে পারেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগের ১২ জন উদ্যোক্তা প‌রিচাল‌কের ম‌ধ্যে এখন প্রস্তা‌বিত ব্যাংকটির চেয়ারম্যান আবুল কা‌শেম ও তার স্ত্রী আছেন। কার্যক্রম শুরু করতে নতুন ক‌রে আরও ২১ জন প‌রিচাল‌ক নিয়োগের আবেদন ক‌রে‌ন। ২১ জনের ম‌ধ্যে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও তার মা শিরিন আকতারও রয়েছেন।

দীর্ঘ তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকিং ব্যবসার জন্য লাইসেন্স পাওয়ার চেষ্টা করেছিল। তবে এলওআইর শর্ত পূরণ না হওয়ায় লাইসেন্স পাচ্ছিল না। ফলে কয়েক দফা এলওআইর মেয়াদ বাড়িয়ে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ক্রিকেটের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান পিপলস ব্যাংকের দুটি পরিচালক পদের মালিক হতে চেয়েছিলেন, যা অবশেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদ সভায় নাকচ হলো।

২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক তিনটি নতুন ব্যাংককে (পিপলস ব্যাংক, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক এবং সিটিজেন ব্যাংক) লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) প্রদান করে।

এর মধ্যে বেঙ্গল ও সিটিজেন ব্যাংক ইতোমধ্যে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। কিন্তু পিপলস ব্যাংক পরিশোধিত মূলধনসহ নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করতে বারবার ব্যর্থ হয়েছে এবং আরও সময় চেয়ে করা আবেদন শেষ পর্যন্ত বাতিল হওয়ায় আর আলোর মুখ দেখলো না।  

আরও পড়ুন:
ব্যাংকের মালিক হচ্ছেন সাকিব

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২২
এসই/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।