ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মোংলাকে ‘এলপিজি সিটি’ ঘোষণা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০২২
মোংলাকে ‘এলপিজি সিটি’ ঘোষণা

খুলনা: বন্দরনগরী মোংলাকে ‘এলপিজি সিটি অব বাংলাদেশ’ ঘোষণা করেছেন বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়াত সোবহান। এলপিজি সিটি ঘোষণার স্মারকস্বরূপ মোংলায় বিলবোর্ড স্থাপন করেছেন তিনি।

শনিবার (৫ মার্চ) বেলা ১১টায় বাগেরহাটের কাটাখালী মোড়ে এলপিজি ইন্ডাস্ট্রিতে বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে বিলবোর্ডটির উদ্বোধন করেন সাফিয়াত সোবহান।

এ সময় বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের সঙ্গে থাকবেন। আজকে আমি আপনাদের সবার সামনে, খুলনা ও মোংলাবাসীর সামনে ঘোষণা করলাম—মোংলা সবার জন্য এলপিজি সিটি অব বাংলাদেশ।

সাফিয়াত সোবহান আরও বলেন, এখন থেকে মোংলা সিটি এলপিজি সিটি অব বাংলাদেশ হিসেবে পরিচিতি পাবে। ২০-২২ বছর ধরে এলপিজি সেক্টরে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান এ অঞ্চলে নাম্বার ওয়ান পজিশনে ছিলেন। দায়িত্ব পাওয়ার পর আমিও শপথ নিয়েছি—বসুন্ধরা গ্রুপ নাম্বার ওয়ান পজিশনে ছিল, আপনাদের সহযোগিতা পেলে আগামীতেও বসুন্ধরা গ্রুপ নাম্বার ওয়ান পজিশনেই থাকবে।

অনুষ্ঠান আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতার জন্য বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের খুলনা ও বাগেরহাট অঞ্চলের এক্সক্লুসিভ পরিবেশক সারাহ সুপার স্টোরকে ধন্যবাদ জানান সাফিয়াত সোবহান।



উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্য যে কোনো উন্নয়নশীল দেশের মতো জ্বালানি অপর্যাপ্ততার মুখোমুখি। দামে কম ও সহজলভ্যতার কারণে এলপি গ্যাস ধীরে ধীরে প্রাকৃতিক গ্যাসের স্থান দখল করে নিচ্ছে। গৃহস্থালির পাশাপাশি বাণিজ্যিক ও শিল্পখাতেও এটি বিকল্প জ্বালানি হিসেবে জায়গা দখল করে নিচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ কমে যাওয়ায় স্থানীয় শিল্পগুলো নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের জন্য ধীরে ধীরে এলপি গ্যাসের দিকে ঝুঁকছে। এলপিজি সম্পূর্ণ আমদানিভিত্তিক পণ্য, যার প্রায় ৯৮ শতাংশ আমদানিকৃত এবং বেশির ভাগ টার্মিনাল মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

গত ৫ বছরে বিকল্প জ্বালানির ভরসা হয়ে উঠেছে এলপি গ্যাস এবং সারাদেশে এর ব্যাপকতা বেড়েছে বহু গুণ। ২২ বছর আগে মোংলা বন্দরে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস জাহাজে করে প্রথম এলপিজি জ্বালানি আমদানি করে দেশে এলপিজির সূচনা করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত দশ বছরে মোংলা শহরে পায় ১৫/১৬টি এলপিজি আমদানিকারকের মাধ্যমে শত সহস্র লোকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। ফলশ্রুতিতে মোংলা বন্দর দেশের সবচেয়ে ব্যস্ত বন্দর হিসেবে আবির্ভূত হয়।

যেহেতু মোংলা বন্দরের সিংহভাগ যোগানই আসে এলপিজি সরবরাহে, সেহেতু মোংলা বন্দর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বৃহৎ একটি এলপিজি কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এরই স্বীকৃতস্বরূপ বাংলাদেশের এক নম্বর এলপিজি কোম্পানি, বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেড খুলনার কাটাখালী মোড় থেকে নিয়ে মোংলা বন্দর পর্যন্ত এলাকাকে ‘এলপিজি জগৎ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। এ উপলক্ষে মোংলা বন্দর থেকে ২০ কি.মি. দূরে কটাখালী মোড়ে এলপিজি ইন্ডাস্ট্রিতে সর্ববৃহৎ বিলবোর্ড উদ্বোধন করা হয়। মোংলা অঞ্চলটি যে একটি এলপিজির জগৎ তার স্মারকস্বরপ বিলবোর্ড স্থাপন এবং উদ্বোধন করে বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষ।

অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের তৃতীয় প্রজন্মের নেতা ইব্রাহিম সোবহান, সিএফও মাহবুব আলম, সিওও (ব্রান্ড মার্কেটিং) এমএম জসিম উদ্দিন, হেড অব অ্যাডমিন অ্যান্ড এইচআর সাদ তানভীর, এলপি গ্যাসের হেড অব সেলস প্রকৌশলী জাকারিয়া জালালসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পরিবেশক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বিশাল মোটরবাইক শোভাযাত্রা সহ বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়াত সোবহান অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় তাকে সারাহ সুপার স্টোরের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২২
এমআরএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।