ঢাকা, সোমবার, ১৫ পৌষ ১৪৩১, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ভোজ্যতেলে ভ্যাট প্রত্যাহার চায় এফবিসিসিআই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০২২
ভোজ্যতেলে ভ্যাট প্রত্যাহার চায় এফবিসিসিআই ভোজ্যতেলের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে এফবিসিসিআই-এর মতবিনিময় সভা

ঢাকা: ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে প্রতিবেশী দেশ ভারত তিনবার শুল্ক ও ভ্যাট সমন্বয় করেছে। বাংলাদেশেও ভ্যাট প্রত্যাহার করা উচিত বলে মনে করেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

সোমবার (৭ মার্চ) দুপুরে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে ভোজ্যতেলের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভায় আগামী তিন মাসের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।

জসিম উদ্দিন বলেন, তেলের ঘাটতি না থাকার পরেও সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি অস্বাভাবিক। গুটিকয়েক অসাধু ব্যবসায়ীর জন্য পুরো ব্যবসায়ী সমাজের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।

অসাধু ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, এফবিসিসিআই এসব ব্যবসায়ীদের দায় নেবে না। ব্যবসায়ীদের তেল মজুদ না করে সরকার নির্ধারিত দামে তেল বিক্রি এবং মিলমালিকদের সরবরাহ ঠিক রাখার আহ্বান জানান তিনি।

বাজার নিয়ন্ত্রণে এফবিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে একটি মনিটরিং সেল গঠনের ঘোষণা দেন সংগঠনটির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। একই সঙ্গে বাজার কমিটিগুলোকে তদারকি কার্যক্রম জোরদার করার প্রতি জোর দেন তিনি।

খোলা তেল বিক্রি বন্ধ ও আমদানিকৃত অপরিশোধিত তেল বন্ডের মাধ্যমে ছাড় করার পদ্ধতি চালুর পক্ষে মত দেন এফবিসিসিআই সভাপতি।

মতবিনিময় সভায় মেঘনা গ্রুপের সিনিয়র এজিএম তাসলিম শাহরিয়ার জানান, গত এক বছরে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে ৬১ শতাংশ। একই সময়ে দেশের বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার ২১ শতাংশ।

সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা জানান, মিলমালিকদের পক্ষ থেকে বাজারে সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। প্রতিদিন দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার মেট্রিক টন তেল সিটি গ্রুপের কারখানা থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে কোরবানি পর্যন্ত ভোজ্যতেলেরর ওপর ভ্যাট প্রত্যাহারের আহ্বান জানান তিনি।

এস আলম গ্রুপের সিনিয়র মহা-ব্যবস্থাপক কাজী সালাহউদ্দিন আহাম্মদও এনবিআরকে ভ্যাট প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।

একই দাবি জানিয়ে টি কে গ্রুপের পরিচালক শফিউল তাছলিম জানান, প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে সরকার ২৫ থেকে ২৭ টাকার রাজস্ব পায়। বর্তমান সময়ে এই রাজস্বছাড় দিলে রমজান পর্যন্ত তেলের বাজারে কোনো সংকট থাকবে না।

পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী মো. গোলাম মাওলা মিলমালিকদের প্রতি তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার আহ্বান করেন। তিনি জানান, মিলগেটে অপেক্ষার জন্য একেকটি ট্রাক বাবদ দৈনিক ৫ হাজার টাকা ড্যামারেজ দিতে হয়।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন প্রতি ১৫ দিনে একবার তেলের দাম নির্ধারণের পরামর্শ দেন।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি মো. হাবীব উল্লাহ ডন, পরিচালক রেজাউল করিম রেজনু, হারুন অর রশীদ, আবু হোসাইন ভুঁইয়া (রানু), মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. বশির উদ্দিন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০২২
এসই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।